নিজস্ব চিত্র।
করোনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ফলে ডিমের চাহিদা একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। দোকানে ডিম পাওয়া গেলেও দামের ছ্যাঁকায় হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। ডিমের চাহিদা বাড়তেই কালোবাজারির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জেলায়। সাধারণ ক্রেতাদের চড়া দামে ডিম কিনতে হচ্ছে । ডিমের এই বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধিতে কার্যত ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। পূর্ব বর্ধমানেও ছবিটা একই রকম। এই জেলাতেও ডিমের কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে।
বর্ধমানের বিভিন্ন বাজারে ১ ট্রে ডিমের দাম ১৬৫ টাকা ছিল, এখন তা ১৮৫ বা ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের যুক্তি, ডিমের চাহিদা রয়েছে, কিন্তু জোগান নেই। তাই দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ, পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। যে যার মতো করে ডিম বিক্রি করছেন। কোথাও খুচরো ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬ টাকায় তো কোথাও আবার একটি ডিমের দাম আবার সাড়ে ৬ টাকা। পাইকারী ডিম বিক্রেতা গুরুসাধন সাহা বলেন,“লকডাউনে চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারে ডিমের জোগান নেই। তাই ডিমের দাম বাড়ছে।” লকডাউনের সুযোগে ডিমের কালোবাজারি হলেও প্রশাসনের কোনও হুঁশ নেই বলেই অভিযোগ তুলেছেন জেলার ক্রেতারা।