মা ঘাঘর বুড়ির মন্দিরে পুজো দিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।
মা ঘাঘর বুড়ির মন্দিরে পুজো দিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। রবিবার আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি, জেলা সম্পাদক দিলীপ দে-সহ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ব্যান্ড, তাসা বাজিয়ে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে প্রথমে একটি মিছিল করেন অগ্নিমিত্রা। তার পর মা ঘাঘর বুড়ির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপি বিধায়ক। পুজো দেওয়ার পর তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হাকে কটাক্ষ করে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রার্থী তো আসানসোল সম্পর্কে কিছুই জানেন না।’’
গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানকে হাতিয়ার করে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের প্রচার করতে দেখা গেল অগ্নিমিত্রাকে। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলেন বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়, তেমনই আমি বলব, আসানসোল নিজের মেয়েকেই চায়। আসানসোলের প্রত্যেক নাগরিক আমাকেই ভোট দেবেন।’’ তৃণমূল আসানসোলে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করায় তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘আসানসোল সম্পর্কে কিছুই জানেন না তৃণমূল প্রার্থী। উনি জিতুন বা হারুন, উনি তো আর আসানসোলে থাকবেন না। আসানসোলের মানুষ ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রয়েছেন। দেশব্যাপী উন্নয়ন দেখেই আসানসোলের মানুষ দু’বার বিজেপি-কে জিতিয়েছে। এ বারও তাই হবে বলে আমি আশাবাদী’’। মন্দিরে পুজো দেওয়া পরে আসানসোলে বিজেপি-র জেলা অফিসে কর্মিসভার বৈঠকেও অংশ নেন অগ্নিমিত্রা।
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিও বলেন, ‘‘আসানসোল নিজের মেয়েকে চায়। আসানসোলের মানুষ এমন একজনকে চান, যিনি দিল্লি গিয়ে উন্নয়নের টাকা নিয়ে আসতে পারবেন। অন্য দলের কেউ জিতলে তিনি দিল্লি গিয়ে শুধু মোদীজির নামে কুৎসা করবেন। এতে কাজের কাজ কিছুই হবে না। তৃণমূলপ্রার্থী এখানে জিতলে আসানসোল সম্পর্কে জানতেই ওঁর দু’বছর লেগে যাবে। অগ্নিমিত্রা পালকে জেতালে আসানসোলেরই উন্নয়ন হবে।’’
অগ্নিমিত্রার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আসানসোলের তৃণমূল নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁকে আসানসোলের মানুষ চেয়েছিলেন বলেই জিতেছেন। কিন্তু এই সাত মাসের মধ্যে সাধারণ মানুষও ওঁকে কত বার পেয়েছেন? ওঁর বিধানসভার ৯০ শতাংশ মানুষ এখনও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাই এ সব কথা বলে কোনও লাভ নেই।’’