ফাইল চিত্র।
স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে মেলেনি কন্যাশ্রীর টাকা, অভিযোগ তুলল এক পড়ুয়ার পরিবার। মঙ্গলবার জামুড়িয়ার বাহাদুরপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) নেতৃত্বে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ার পরিজন ও পড়শিরা। টাকা না পাওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ব্লক প্রশাসন পরস্পরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।
বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা হরিপদ রুইদাস অভিযোগ করেন, ছোট থেকে তাঁর কাছে থাকত তাঁর ভাগ্নি। বাহাদুরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত সে। গত ১৩ মার্চ ভাগ্নির বিয়ে হয়েছে। ২০১৮ সালে সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। তার আগে কন্যাশ্রী প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেও তা পায়নি। কিন্তু অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে ওই প্রকল্পে প্রতি বছর সাড়ে সাতশো টাকা করে পেয়েছে।
হরিপদবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ২০১৭ সালে সংশ্লিষ্ট দফতরে কন্যাশ্রী প্রকল্পে পাঠানো আবেদনপত্রের নথিতে আমার ভাগ্নিকে বিবাহিত বলে দেখানো হয়েছে। সে কারণেই সে ওই প্রকল্পের টাকা পায়নি।’’ তিনি জানান, মে মাসে তাঁরা জামুড়িয়া ব্লক প্রশাসনের কাছে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। বিডিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও ফল হয়নি। তাই তাঁরা এ দিন স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন। এর পরেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না করা হলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। টিএমসিপি-র জামুড়িয়া ২ ব্লক সভাপতি শেখ জুয়েল বলেন, “প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষককে দাবিপত্র দেওয়া হয়েছে।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপ্রকাশ রায় দাবি করেন, “আমরা এ সব প্রকল্পের আবেদনকারীদের নামের তালিকা ব্লক কার্যালয়ে শিক্ষামিত্রের কাছে পাঠিয়ে দিই। তাঁরাই নথিভুক্ত করেন। সেই সময়ে তাঁদের ভুলে এমন হয়ে থাকতে পারে।” বিডিও অতনু ঝুড়ি আবার বলেন, “আবেদনকারীর নথি খতিয়ে দেখে পাঠান স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পাঠানো নথি দেখেই শিক্ষামিত্র দফতর অনুমোদন দেয়। তাই ভুল হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ দায়ী।’’ তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।