ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল দুর্গাপুরের রাস্তায়। —নিজস্ব চিত্র।
কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ইস্পাতকর্মীর। আর সোমবার এ নিয়ে শোরগোল পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে। পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে চেক পোস্টে ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা। পরে রাস্তা অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ইস্পাতকর্মীর নাম সঞ্জয় চক্রবর্তী (৫২)। ইস্পাত নগরীর রানাপ্রতাপ এলাকার বাসিন্দা। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী সঞ্জয় কারখানা থেকে স্কুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। আচমকা ছাই বোঝাই একটি ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সঞ্জয়ের স্কুটিতে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়েরা ওই ইস্পাতকর্মীকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুরের ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব। কিন্তু তার মধ্যেই সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় উত্তেজনা।
অভিযোগ ওঠে, পুলিশ সেখানে তোলাবাজিতে ব্যস্ত থাকে। ট্র্যাফিক ব্যবস্থায় তাদের কোনও নজরদারি নেই। লিঙ্ক রোড অবরোধ করে যখন বিক্ষোভ চলছে, তখন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়। পুলিশকে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রজত দীক্ষিত বলেন, ‘‘পুলিশ তোলাবাজি করছিল। সেই তোলা না দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ছাই বোঝাই ট্রাক্টরটি যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তখনই আমাদের সহকর্মী সঞ্জয় চক্রবর্তীকে ধাক্কা মারে ট্রাক্টরটি।’’ তাঁর অভিযোগ, ভারী গাড়ি যাতায়াত করছে রাস্তা দিয়ে। তাতে রাজ্য পুলিশের নজরদারি নেই। যত ক্ষণ পর্যন্ত এর কোনও বিহিত হচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’ স্থানীয়দের দাবি, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলার পর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।