Child Death

শিশুর মৃত্যুতে ক্ষোভ কাটোয়ায়

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়িতে খেলার ফাঁকে প্রিয়জিৎ রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানেই একটি বঁটিতে পড়ে যায় শিশুটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ০০:২৮
Share:

কাটোয়া হাসপাতালে শিবির করে চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র।

চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলার মধ্যেই শনিবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। প্রিয়জিৎ মণ্ডল (৩) নামে ওই শিশুর বাড়ি কেতুগ্রামের কাটুন্দিডাঙা গ্রামের মণ্ডলপাড়ায়। এই ঘটনায় হাসপাতালে থাকা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ছেলের মৃত্যুতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মা বেবি মণ্ডল। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পরিবারের অন্য লোকজন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের আন্দোলন চললেও, জরুরি ক্ষেত্রে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত হবে।

Advertisement

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বাড়িতে খেলার ফাঁকে প্রিয়জিৎ রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে। সেখানেই একটি বঁটিতে পড়ে যায় শিশুটি। তার বাঁ পায়ের উপরের দিকে কিছুটা কেটে যায়। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগে দেখার পরেই অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তার খানিক পরেই, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।

এ দিন হাসপাতালের নতুন ভবনে মৃত নাতিকে কোলে নিয়ে ঠাকুমা চন্দনা মণ্ডল বলেন, “বঁটিতে পড়ে গিয়ে নাতির পা কিছুটা কেটে যায়। রক্ত পড়ছিল। প্রথমে কেতুগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখনও নাতি ভাল ভাবেই কথা বলছিল। জরুরি বিভাগ থেকেই চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটরে নিয়ে যায়।’’ তিনি অভিযোগ করেন, তাঁদের সে ভাবে কিছু জানানো হয়নি। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে অপারেশন থিয়েটর থেকে বার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁরা দেখেন, নাতির মুখ দিয়ে ফেনা উঠছে। তার পরে মায়ের কোলেই শিশুটির দেহ নিথর হয়ে যায়।

Advertisement

মৃত শিশুর দাদু অসীমনাথ মণ্ডলের অভিযোগ, “আমার নাতি চিকিৎসার গাফিলতিতেই মারা গিয়েছে। অপারেশন থিয়েটরে অজ্ঞান করার ডাক্তার ছিল কি না, আমাদের সন্দেহ রয়েছে। আমরা এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। উপযুক্ত তদন্ত চাই।’’

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, “ওই বাচ্চাটির পা প্রায় সাড়ে তিন ইঞ্চি গভীর ভাবে কেটে যায়। চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারও করে দেন। কিন্তু তার পরেও শিশুটির মৃত্যু হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়না তদন্তে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ কাটোয়ার বিধায়কতথা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্ত করে দেখা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement