দেহ রেখে বিক্ষোভ! —নিজস্ব চিত্র।
ডিভিসির সাব-স্টেশনে দেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে। প্রায় ২৬ ঘণ্টা পর সেই বিক্ষোভ উঠল। সাব-স্টেশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হওয়া কর্মীর স্ত্রীকে চাকরি ও ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের তরফে মেলার পরেই বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হল শুক্রবার সন্ধ্যায়।
কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুতের পোস্ট থেকে পড়ে গিয়েছিলেন সালানপুরের পুরান্ডি গ্রামের বাসিন্দা সাহেবলাল মুর্মুর (৪২)। দিন পনেরো আগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং নিকটাত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ডিভিসি’র কল্যাণেশ্বরী সাব-স্টেশনে সাহেবলালের দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।
দেন্দুয়া কল্যাণেশ্বরী রাস্তাও বাঁশের ব্যারিকেড করে অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ডিভিসির গাফিলতিতেই সাহেবলালের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, যত ক্ষণ না তাঁদের দাবি মানা হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁরা সাব-স্টেশনে দেহ রেখে আন্দোলন করে যাবেন। সেই মতো বরফ দিয়ে সাহেবলালের দেহটি রাখা হয়েছিল। শেষমেশ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ডিভিস কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নেন বলে খবর।
ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্থানীয় কাউন্সিলর মুনমুন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডিভিসি কর্তৃপক্ষ মৃতের স্ত্রীকে চাকরি দেবেন। পিএফ, গ্র্যাচুইটি বাবদ টাকাও যাতে তাড়াতাড়ি পান, তার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা হয়েছে।’’