চলছে অভিযান। নিজস্ব চিত্র
পানীয় জলের অবৈধ সংযোগ কাটার কাজ শুরু হল কুলটিতে। এ দিন সকালে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আসানসোল শাখা ও পুরসভার তরফে চলবলপুর এলাকায় অবৈধ সংযোগ কাটা হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে উপস্থিত ছিল পুলিশের বড় বাহিনী। মাসখানেক আগেই জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত পানীয় জলের অবৈধ সংযোগ কাটার নির্দেশ দেন। আগে আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়ায় বেশ কিছু এমন সংযোগ কাটা হয়েছে। এই অভিযান চলবে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা জানান। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন জলপ্রকল্প চালুর আগে কুলটি এলাকায় সমস্ত অবৈধ সংযোগ কাটা হবে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে কুলটিতে একশোরও বেশি অবৈধ পানীয় জলের সংযোগের অভিযোগ উঠে আসে। জানা গিয়েছে, সেগুলি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন, ইটভাটা, রিফ্যাক্টরি, হোটেল, ছোট-বড় কারখানা, নার্সিংহোমের মতো নানা প্রতিষ্ঠানে। জেলাশাসক জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে দ্রুত সংযোগগুলি ছিন্ন করার নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়ায় বেশ কিছু সংযোগ কাটা হয়েছে। বুধবার কুলটিতে অভিযান শুরু হয়। এ দিন সকালে পুলিশের বড় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে চলবলপুর থেকে অভিযান শুরু হয়। বিকেলে নিয়ামতপুরে তা শেষ হয়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ডজনেরও বেশি সংযোগ কাটা হয়েছে এ দিন। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা দুই ইঞ্জিনিয়ার বাবন মুখোপাধ্যায় ও অভিজিৎ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘অবৈধ সংযোগগুলি প্রত্যেকটিই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল।’’
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এক আধিকারিকের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলির স্থানীয় নেতাদের মদতেই এলাকার হোটেল, ইটভাটা ও কারখানার মালিকেরা পাইপলাইন ফাটিয়ে অবৈধ সংযোগ নিচ্ছে। ফলে, উচ্চ জলাধারে জল পূর্ণ হচ্ছে না। শহরে জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত মাইথন জলাধারে জলস্তর কম। তাই জলের অপচয় বন্ধ করতে না পারলে সরবরাহে ভাটা পড়বে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আসানসোল ডিভিশনের মুখ্য আধিকারিক আশিস নস্কর বলেন, ‘‘অবৈধ সংযোগ কাটার অভিযান চলবে।’’
আসানসোল পুরসভার জল দফতরের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় জানান, পুরসভার উদ্যোগে তৈরি কুলটির জলপ্রকল্পটি দ্রুত চালু করা হবে। তার আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রকল্পের অবৈধ সংযোগগুলি কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি জানান, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য পুরসভা থেকে বৈধ জলের সংযোগ নিতে হবে। সে জন্য প্রত্যেক সংস্থাকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে। জলের মিটার অনুযায়ী দাম দিতে হবে।