—প্রতীকী চিত্র।
ছেলেধরা সন্দেহে আবার মারধরের ঘটনার অভিযোগ উঠল জেলার দুই প্রান্তে। রবিবার রাতে আসানসোলের ডামরায় ও সোমবার সকালে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙায় দু’জন আক্রান্ত হন। ডামরায় দশ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ডামরায় এক মহিলাকে ইতস্তত ঘোরাফেরা করতে দেখে কয়েক জন বাসিন্দা ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। মহিলা অসংলগ্ন কথা বলায় সন্দেহ তৈরি হয় বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁর সঙ্গে থাকা কাপড়ের পুঁটুলিটি দেখতে চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। এর পরেই জনা কয়েক বাসিন্দা তাঁর উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। তবে এলাকার কয়েকজন তাতে বাধা দেন। আসানসোল দক্ষিণ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতাকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে। মহিলাকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। এসিপি (সেন্ট্রাল) স্বপন দত্ত জানান, পুলিশের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গুজবে কান না দেওয়া ও আইন হাতে না তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। রবিবার ডামরা এলাকাতেও সেই প্রচার করা হয়েছে। তার পরেও সেই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ছেলেধরা সন্দেহে সোমবার সকালে দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সগড়ভাঙা মুসলিমপাড়া এলাকায় এক বহিরাগতকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কোকআভেন থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দার অভিযোগ, এ দিন সকালে তিন জন বহিরাগত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। তাঁদের এক জনের কাছে বড় চটের ব্যাগ ও বিস্কুটের প্যাকেট ছিল। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে দু’জন পালিয়ে যায়। এক জনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। ছেলেধরা সন্দেহে কয়েক জন তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, যুবকটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।