নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলে বেআইনি কয়লা খাদানের খনিতে নেমে আটকা পড়লেন এক যুবক। শুধু তাই নয়, ভিতরের বিষাক্ত গ্যাসের জেরে তাঁর মৃত্যুও হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের দাবি, বহু দিন ধরেই বন্ধ ছিল কালিপাহাড়ি এলাকার ওই কয়লা খাদান। সেখানে ইদানিং সক্রিয় হয়ে উঠেছেন কয়লা মাফিরারা। তাদের চাপেই খনিতে ঢুকেছিলেন ওই যুবক। খবর পেয়েই আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কলিয়ারির খনির একটি দল ওই এলাকায় উদ্ধারকার্যের জন্য এসে গিয়েছে। এসেছে ইসিএম আধিকারিকও।
পুলিশের দাবি, খনির ভিতর প্রায় ৩০ ফুট গভীরে বিষাক্ত গ্যাস রয়েছে। ওই গ্যাসের কারণেই ওই যুবক প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারেন। ইসিএলের শ্রীপুরের এরিয়ার জিএম মনোজকুমার যোশী বলেন, ‘‘বিষাক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইড রয়েছে ওই খনিতে। নীচে নেমে জল বের করার চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে যত ক্ষণ মৃতদেহ বের হচ্ছে না তত ক্ষণ নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’’ ইসিএলের রেস্কিউ টিমের সুপারেনটেনডেন্ট অপূর্ব ঠাকুর জানান, ‘‘আমাদের অনুমান, খনির ভিতর ১০০ ফুট গভীরে রয়েছে ওই ব্যক্তির দেহ। তাঁকে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিতরে একটি বড় হোস পাইপ দেখা গিয়েছে। আমরা না পারলে বড় ক্রেন মেশিন নিয়ে আসতে হবে।’’