Death

Young woman death: বর্ধমানে তরুণীর মৃত্যুর তদন্তে বাড়িতে গেল দুই সদস্যের ফরেন্সিক দল

পুরভোট মিটতে না মিটতে বর্ধমান শহরে উত্তেজনা ছড়ায় ওই তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে।  ২ মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম তুহিনা খাতুন( ১৮)। তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২ ১৭:৩০
Share:

তদন্তে ফরেন্সিক বিভাগের দুই সদস্যের দল । নিজস্ব চিত্র।

বর্ধমান শহরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ নতুনপল্লিতে তুহিনা খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ফরেন্সিক বিভাগের দুই সদস্যের দল তদন্তে এল রবিবার। দলের নেতৃত্বে ছিলেন চিত্রাক্ষ সরকার। এ ছাড়া ছিলেন পুলিশের ডিএসপি অতনু ঘোষাল। তাঁরা তরুণীর লেখা একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন । তদন্তের অগ্রগতি দেখে কিছুটা আশ্বস্ত মৃতার পরিবার।

Advertisement

প্রসঙ্গত পুরভোট মিটতে না মিটতে বর্ধমান শহরে উত্তেজনা ছড়ায় ওই তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। ২ মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম তুহিনা খাতুন( ১৮)। তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তুহিনার পরিবারের দাবি, তাঁরা তৃণমূল সমর্থক, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি মোক্তার মিঞার অনুগামী ।

Advertisement

তাঁদের অভিযোগ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর বসির আহমেদের বিপক্ষ গোষ্ঠী করেন তারা। সেই কারণেই ২ মার্চ বুধবার জয়ের পর বশির আহমেদ তুহিনার বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই আত্মহত্যা বলে অভিযোগ পরিবারের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বসির আহমেদ।

এই মৃত্যুর ঘটনায় ৩ মার্চ তসমিনা বিবি, মেনু বেবি, সোনা বিবি, শেখ গোলামকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। ঘটনার ১০দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর আরও এক অভিযুক্ত নুরনেহার বিবিকে ১২ মার্চ গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে বর্ধমান জেলা আদালতে পেশ করা হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেস ও বামেদের প্রতিনিধি দল এখানে এসেছেন। এপিডিআর-এর প্রতিনিধিরাও এসেছিলেন।

রবিবার সকালে কলকাতা থেকে দুই সদস্যের ফরেন্সিক দল আসে। বাবুরবাগের নতুনপল্লিতে তুহিনার বাড়িতে গিয়ে তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করেন একটি ডায়েরি। এরপর তারা বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালান ওই বাড়িতে। সেই সময় পরিবারের কাউকে ওই ঘরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি দলটি। এরপর তুহিনার দিদিকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

মৃত্যুর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও পুলিশের তৎপরতায় পরিবার কিছুটা ভরসা পেয়েছে বলে জানান মৃতার দিদি কুহেলি বিবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement