প্রতীকী ছবি।
আজ, বৃহস্পতিবার দেশের ৪১টি ‘কোল ব্লক’-এর বাণিজ্যকরণের (‘কমার্শিয়াল মাইনিং’) জন্য নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এর প্রতিবাদে আগামী ২ থেকে ৪ জুলাই কয়লাশিল্পে ধর্মঘটের ডাক দিল পাঁচটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনকে নিয়ে গঠিত ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’ (জ্যাক)। তবে ধর্মঘটে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেস’ (কেকেএসসি)।
‘জ্যাক’-এর মধ্যে রয়েছে এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি, সিটু, এইচএমএস ও বিএমএস। এআইটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি রামচন্দ্র সিংহের দাবি, বৃহস্পতিবার সংগঠনগুলি পৃথক ভাবে কোল ইন্ডিয়ার অধীন সব কয়লা সংস্থার প্রতিটি এরিয়ায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্তের (‘স্ট্রাইক নোটিস’) কথা জানাবে।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন বিএমএস সূত্রে জানা যায়, সংগঠনের নেতা বসন্তকুমার রায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরের কাছে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া বাতিল করা, কয়লা শিল্পের বাণিজ্যকরণের (‘কমার্শিয়াল মাইনিং’) সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, সিএমপিডিআই-কে (‘কোল মাইনিং প্ল্যানিং অ্যান্ড ডিজ়াইন ইনস্টিটিউট’) কোল ইন্ডিয়া থেকে আলাদা না করা, ঠিকাকর্মীদের জন্য কমিটির (২০১৯-এ তৈরি) সুপারিশ মেনে বেতন নির্ধারণ, শারীরিক ভাবে অক্ষম কর্মীর পরিবারের এক জনকে চাকরিতে নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
সিটু অনুমোদিত ‘ভারতের কোলিয়ারি মজদুরসভা’র সাধারণ সম্পাদক বিবেক হোমচৌধুরী জানান, ‘কোল ইন্ডিয়া’র ২২ শতাংশ শেয়ার ইতিমধ্যেই বিক্রি করা হয়েছে। ৫০টি ‘কোল ব্লক’ বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। এর প্রতিবাদে গত ১৪ জুনের বৈঠকে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান সিটু নেতা গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়, এইচএমএস নেতা শিবকান্ত পাণ্ডেরা।
পাশাপাশি, ‘জ্যাক’ নেতৃত্ব ‘কেকেএসসি’-র ধর্মঘট সমর্থন না করার বিষয়টিকে সামনে রেখে তৃণমূলকে বিঁধেছেন। এআইটিইউসি নেতা রামচন্দ্র সিংহ, সিটুর জেলা সভাপতি বংশগোপাল চৌধুরীদের কটাক্ষ, ‘‘মঙ্গলবার আইএনটিটিইউসি নেত্রী বলেছিলেন, আমরা না কি, বিজেপির বন্ধু। আজ, প্রমাণ হয়ে গেল, শ্রমিক স্বার্থে কারা তাঁদের পাশে আছে। আর কারা বিজেপির প্রকৃত বন্ধু।’’ যদিও আইএনটিটিইউসি-র জেলা চেয়ারম্যান ভি শিবদাসন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমরা কর্মনাশা ধর্মঘট সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে সংসদে ও পথে— দু’জায়গাতেই প্রতিবাদ চলছে।’’