গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ট্যাব-কাণ্ডে বিহারের পথিয়া থানা এলাকার এক বাসিন্দাও জড়িত বলে জানতে পেরেছে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা জমা পড়েছে, এমন ন’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, ওই ন’জনের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে জমা পড়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিহারের ওই ব্যক্তিক হদিস পাওয়া গিয়েছে। টাকা হাতানোয় তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। দাবি, তিনিই অ্যাকাউন্ট খোলায় সাহায্য করেছিলেন। অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নথিপত্র নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। ট্যাব কেনার টাকা সেই সব অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার পর তিনি টাকা তুলে নিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে, তাঁদের তিন জনের গোপন জবানবন্দি বুধবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিন জনেরই বাড়ি পথিয়া থানা এলাকায়। পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ঘটনায় ধৃত রকি শেখ, জামাল হোসেন, পিন্টু শেখ ও শ্রাবণ সরকারকে বুধবার ফের আদালতে পেশ করা হয়। হেফাজতে থাকাকালীন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। ট্যাবের টাকা হাতানোয় আরও কয়েক জন জড়িত বলে জানা গিয়েছে। জামাল ও পিন্টুর কাছ থেকে দু’টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের ক্ষেত্রে বাজেয়াপ্ত হওয়া মোবাইল দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও বিভিন্ন জনের নামে থাকা ১৯টি এটিএম কার্ড রকির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ট্যাব কেনার টাকা ঢুকেছে, এমন ১০টি অ্যাকাউন্টের মালিকের হদিস পায় সাইবার থানার পুলিশ। তাঁদের সকলেরই বাড়ি পথিয়া থানা এলাকায়। মঙ্গলবার তাঁদের সাইবার থানায় ডেকে পাঠিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কাছ থেকে তদন্তকারীরা জেনেছেন, পথিয়া থানা এলাকার এক বাসিন্দা ভুল বুঝিয়ে তাঁদের নামে এ বছরের ২৩ ও ২৪ জুন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন। ওই ব্যক্তিকে ধরা গেলে প্রতারণার বিষয়ে আরও নতুন তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃত চার জনকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ৪ ডিসেম্বর ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম।