হাসপাতালে সেই কিশোর। — নিজস্ব চিত্র।
দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল কিশোর। লোহার রড তার উরু এ ফোঁড় ও ফোঁড় করে দিয়েছিল। গুরুতর জখম অবস্থায় বছর ষোলোর সেই কিশোরকে আনা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। ঘণ্টাখানেক ধরে অস্ত্রোপচার করে সেই অবস্থা থেকে তাকে স্বস্তি দিলেন চিকিৎসক।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের নৈহাটি গ্রামের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ মাজি। তার বাবা ছোটন মাজি কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। শনিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে ক্যারম খেলে সাড়ে ১০টা নাগাদ সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিল অভিজিৎ। পথে নির্মীয়মাণ একটি কালভার্ট পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢালাইয়ের রডের উপরে পড়ে যায় অভিজিৎ। সেই সময় একটি রড তার বাঁ পায়ের উরু ফুঁড়ে ঢুকে যায়।
ঘটনাস্থলে বেশ কিছু ক্ষণ পড়েছিল অভিজিৎ। সেখান থেকে রড কেটে তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে তখনও অভিজিতের শরীরে ঢুকেছিল রডের একটি বড় অংশ। এর পর তাকে বাইকে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া হাসপাতালে। সেখানে ঘণ্টাখানেক ধরে অস্ত্রোপচার করে অভিজিতের শরীর থেকে রড বার করা হয়।
জানা গিয়েছে, রডটির ব্যাস ১০ মিলিমিটার। দৈর্ঘ্যে ৬২ সেন্টিমিটার। এ নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের শল্যচিকিৎসক সন্দীপকুমার বাড়ি বলেন, ‘‘রোগীর হাঁটুর একটু উপরে রডটি ঢুকেছিল। মাংসপেশির মধ্যেই রডটি আটকে ছিল। তাতে কয়েকটি শিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেগুলি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যদি সময় নষ্ট হত, তা হলে রোগীর প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল।"
সীতাহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান বিকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই কিশোরের চিকিৎসার জন্য যা খরচ হবে, তা পঞ্চায়েত থেকে বহন করা হবে। আমরা পরিবারটির পাশে আছি।’’
অভিজিতের মা দীপালী বলেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম ছেলেকে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। কাটোয়া হাসপাতালে যে চিকিৎসা হবে, তা আশা করতে পারিনি।’’