টাকা দিতে হত কর্মীকে, অভিযোগ

নিখিলবাবুর অভিযোগ, ‘‘লালু মাজি নামে এক খনিকর্মীর চাপে ২০ জনকে নিয়োগ করতে হয়। তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে রক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা কোনও কাজ করেন না। অথচ, বেতন দিতে হচ্ছিল। তা ছাড়া লালুবাবুকে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছিল।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৪৪
Share:

প্রতীকী চিত্র।

এক খনিকর্মীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করলেন ইসিএলের নর্থ সিহারসোল খোলামুখ খনিতে কর্মরত এক ঠিকাদার। শুক্রবার এ বিষয়ে তিনি জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ করেন।

Advertisement

নিখিল রায় নামে অণ্ডালের সিঁদুলির বাসিন্দা ওই ঠিকাদার জানান, বছর দেড়েক ধরে তিনি ‘ওভারবার্ডেন’ (খনি থেকে কয়লা কাটার আগে মাটি ও পাথর) তুলে তা খনির পাশে মজুত করার কাজ করছেন। তাঁর সংস্থার ১২০ জন ঠিকাকর্মী এই কাজ করছেন। নিখিলবাবুর অভিযোগ, ‘‘লালু মাজি নামে এক খনিকর্মীর চাপে ২০ জনকে নিয়োগ করতে হয়। তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে রক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা কোনও কাজ করেন না। অথচ, বেতন দিতে হচ্ছিল। তা ছাড়া লালুবাবুকে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছিল।’’

নিখিলবাবু জানান, গত ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি ওই টাকা দেওয়া বন্ধ করেন। অভিযোগ, সেই ‘রোষে’ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লালুবাবুর নেতৃত্বে ওই ১১ জন ঠিকাকর্মী ‘ওভারবার্ডেন’ মজুত করার কাজ বন্ধ করে দেন। ওই ঠিকাদারের আরও বক্তব্য, ‘‘নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছি। পুলিশ-প্রশাসন পদক্ষেপ করুক।’’

Advertisement

খনি চত্বরে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের (‌কেকেএসসি) নেতা বলে পরিচিত লালুবাবুর দাবি, ‘‘একেবারেই মিথ্যা অভিযোগ। ওই ঠিকাদার তিন মাস ২০ জনকে বেতন দেননি। বেতনের দাবিতে ওই শ্রমিকেরাই কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।’’ একই অভিযোগ করে জয়ন্ত মাজি, আলিউদ্দিন খান, বাবন মাজি-সহ ওই ১১জন ঠিকাকর্মী জানান, তাঁরা গত মার্চ থেকে বেতন পাচ্ছেন না। আরও অভিযোগ, কাজ করার জন্য জুতো, টর্চের ব্যাটারি, লাঠি-সহ নানা সরঞ্জাম দেননি ওই ঠিকাদার। জয়ন্তবাবুদের দাবি, ‘‘এ সব অনিয়মের বিরুদ্ধে কয়েক মাস ধরে ঠিকাদারের কাছে প্রতিকার জানিয়েছি। তার জেরে উনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”

বিষয়টি নিয়ে আইএনটিটিইউসি-র জেলা চেয়ারম্যান ভি শিবদাসন বলেন, “ঠিকা সংস্থা আমাদের কিছু জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।’’ কুনুস্তড়িয়া এরিয়া কর্তৃপক্ষ জানান, এটি একেবারেই ঠিকা সংস্থার অভ্যন্তরীণ বিষয়। সমস্যা যাতে মেটে, সেই চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement