শোনপুর বাজারিতে। নিজস্ব চিত্র
নিকটাত্মীয়কে চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে খনির পরিবহণ আটকে বিক্ষোভ দেখালেন দুর্ঘটনায় জখম এক কর্মীর পরিবারের সদস্যেরা। বুধবার ইসিএলের শোনপুর বাজারি প্রকল্পে প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা এই বিক্ষোভ চলে। শেষে খনি কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই ডাম্পার চালক কৈলাশ সিংহ খনি চত্বরে দুর্ঘটনায় জখম হন। তার বাঁ পা বাদ দিতে হয়। শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, সেই সময়ে খনি কর্তৃপক্ষ কৈলাশবাবুর এক পরিজনকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এখনও কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। কৈলাশবাবুর পরিবারের সদস্যেরা জানান, তাঁরা আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন।
এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ কৈলাশবাবু, তাঁর স্ত্রী, ভাই, ছেলে, দুই মেয়ে ও ভাইঝি খনি চত্বরের রাস্তায় বসে পড়েন। দুপুর আড়াইটে খনি কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পাওয়ার পরে তাঁরা সেখান থেকে ওঠেন। তবে তাঁরা রাস্তায় বসে থাকার জেরে পরিবহণ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। কৈলাশবাবুর পরিবার জানায়, দু’বছর আগে তাঁর বড় মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে বিয়ে দিতে পারছেন না তাঁরা। বারবার খনি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও সমাধান মেলেনি বলে তাঁদের দাবি।
কৈলাশবাবু বলেন, “স্থানীয় বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির কাছে দরবার করেছিলাম। বিধায়ককেও কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার পরেও তা কার্যকর করা হয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে এ ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে বসেছি।’’ কেকেএসসি নেতা নরেন্দ্র চক্রবর্তী, এইচএমএস নেতা শিবনাথ ঘোষেরা জানান, তাঁরা ওই পরিবারটির পাশে রয়েছেন। খনি কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি পূরণ না করলে আন্দোলন হবে।
খনি কর্তপক্ষ জানান, কৈলাশবাবুর আর এক বার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। তাতে যদি তিনি কর্মক্ষম নন বলে প্রমাণ হয় তবে তাঁর কোনও নিকটাত্মীয়কে নিয়োগ করা হবে।