এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ধানের জমিতে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়। তাঁর গলায় জড়ানো ছিল ধান গাছ। অনুমান, গলায় ওই গাছ জড়িয়েই কেউ বা কারা ওই ব্যক্তিকে খুন করেন। রবিবার সন্ধ্যায় দেহ উদ্ধারের পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সঠিক তদন্তের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম চন্দ্রশেখর মণ্ডল (৪৬)। পেশায় কৃষক। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা থানা এলাকার মলানদিঘি ফাঁড়ির নয়া কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা তিনি। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ ছিলেন চন্দ্রশেখর। সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর স্থানীয় এক বাসিন্দা ধানের জমিতে গিয়ে একজোড়া চটি দেখতে পান। এগোতেই তিনি দেখতে পান, উপুড় হয়ে পড়ে আছেন চন্দ্রনাথ। তাঁর গলায় ধান গাছ জড়ানো। বিষয়টি জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় স্থানীয়দের মধ্যে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। পুলিশকে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। তাঁদের অনুমান, চন্দ্রশেখরকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানান গ্রামবাসীরা। মৃতের দাদা শান্তিরাম মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘আমি শুনেছি উত্তম হাঁড়ির একটি মোবাইল চুরি করেছিল ভাই। শনিবার বিকেলে উত্তম এবং তাঁর পরিবারের লোকজন ফোন করে হুমকি দেয়। মারধর করারও হুমকি দেওয়া হয়। তার পর বাড়ি থেকে বেরোনোর পরেও খোঁজ পাওয়া যায়নি চন্দ্রশেখরকে।’’
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে মনে হচ্ছে খুন করা হয়েছে।’’ কী ভাবে খুন, কেনই বা খুন হল তা তদন্তের পরই পরিষ্কার হবে বলে জানান অভিষেক। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।