—প্রতীকী চিত্র।
বৃহস্পতিবার ভাগীরথী নদী থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করতে দু’দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন যুবক। আর বাড়ি ফেরেননি। তার পর এই দেহ উদ্ধার। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রাজু ঘোষ (৩৫)।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের নারায়ণপুর গ্রামে রাজুর বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ ভাগীরথী নদীর শাঁখাই ঘাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরনের জামা-প্যান্ট দেখে পরিবারের লোকজন দেহটি শনাক্ত করেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। যদিও ময়নাতদন্ত হয়নি। শুক্রবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমানে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু পেশায় কৃষক। তিন ভাইয়ের মধ্যে ছোট। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মৃতের ভাইপো কর্ণ ঘোষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে রাজু বাড়ি থেকে বেরোন বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করতে যাওয়ার কথা বলে। এই পিকনিকের কথা সোমবার রাতে পাশের বিষ্টুপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজুর এক বন্ধু ফোন করে বলেছিলেন বলে পরিবারের দাবি। সেই বন্ধুর কথা মতোই রাজু মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরোন। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি।
বাড়ির লোকজন ভেবেছিলেন পিকনিকে গিয়ে রাত হয়ে যাওয়ার কারণেই বাড়ি ফেরেননি। বুধবার সকাল থেকে খোঁজখবর শুরু হয়। কিন্তু সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন কেতুগ্রাম থানায় নিখোঁজ ডাইরি করেন। বৃহস্পতিবার শাঁখাই ঘাটে ভাগীরথী নদীতে একটি দেহ ভাসতে দেখে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। দেহটি উদ্ধারের পর পরিবারের লোকজন শনাক্ত করে। পরিবারের সন্দেহ, তাঁকে কেউ খুন করে নদীতে ফেলে দিতে পারে। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়নি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।