প্রতীকী ছবি।
খেলতে খেলতে গলার রুপোর হার গিলে ফেলেছিল বছর সাতেকের ছেলেটা। দিন ভর চেষ্টা করেও তা বের করতে পারেননি বাবা-মা। শেষে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুটিকে। এক্স-রে দেখা যায় ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদান্ত্রের মাঝে আটকে রয়েছে হারটি। মঙ্গলবার বিকেলেই বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিশুটিকে।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের গোপালপুর এলাকার সুহান ঘোষ নামে ওই শিশুটি প্রথম শ্রেণির ছাত্র। সুহানের মা শোভনাদেবীর দাবি, সোমবার সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে তিনি দেখেন ছেলের গলায় হারটি নেই। বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসা করার পরে সুহান জানায়, সে গিলে ফেলেছে হারটা। চিন্তায় পড়ে যান শোভনাদেবী। পরিবারের দাবি, ছেলেকে বমি করিয়ে ভরি খানেকের ওই হার বের করতে পরপর কলা খাওয়াতে শুরু করেন তাঁরা। কুড়িটা কলা খাওয়ার পরে সুহান বমি করলেও হার বেরোয়নি। পরের দিন সকালে শৌচকর্মের সঙ্গে হার বেরিয়ে যাবে বলেও আশা করেন তাঁরা। তাতেও কাজ হয়নি। এরপরেই বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সুহানকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁরা। হাসপাতালের দাবি, এক্স-রে করে দেখা যায় হারটি ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদান্ত্রের মাঝে আটকে রয়েছে। সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে জানিয়ে দেন বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যেতে হবে শিশুটিকে।
কালনা হাসপাতালের দাবি, পেটের গরমে রুপো গলে বিপদের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সেই অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো কালনায় নেই। সুহানের বাবা সুশান্তবাবু বর্ধমান যাওয়ার পথে বলেন, ‘‘যত সময় গড়াচ্ছে চিন্তা বাড়ছে। ছেলেটার পেট থেকে হার না বের করা পর্যন্ত রেহাই নেই।’’