রাস্তায় বসে খেতে হল পর্যটকদের

বিকেলে বোঁয়াইচণ্ডীর ওই বাসের কয়েকজন পর্যটক জানান, সকাল ৬টা থেকে আটকে ছিলেন একই জায়গায়। জল, খাবার নেই। শৌচকর্ম করার মতোও পরিস্থিতি ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খণ্ডঘোষ শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৩২
Share:

পথেই জিরিয়ে নেওয়া। নিজস্ব চিত্র

বিনা নোটিসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কালচিনির তোর্সা চা বাগান। এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে বাগানের কর্মী-পরিজনেরা আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁতে সোমবার সকাল থেকে পথ অবরোধ করেন। তার জেরে আটকে পড়েন পর্যটকেরা। সমস্যায় পড়েন পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বোঁয়াইচণ্ডী গ্রামের বাসযাত্রী ৬৫ জন পর্যটকও।

Advertisement

বিকেলে বোঁয়াইচণ্ডীর ওই বাসের কয়েকজন পর্যটক জানান, সকাল ৬টা থেকে আটকে ছিলেন একই জায়গায়। জল, খাবার নেই। শৌচকর্ম করার মতোও পরিস্থিতি ছিল না। তাঁরা জানান, চেরাপুঞ্জি, কামাখ্যা পেরিয়ে সোমবার ভুটান হয়ে শিলিগুড়ির পথে রওনা হয়েছিলেন। সকালেই জয়গাঁয়ের বি-বাড়িতে পথ অবরোধে তাঁরা আটকে পড়েন।

বাসেই থাকা উখরিদ কুলেপাড়ার শেখ জমিরুদ্দিন বলেন, ‘‘অবরোধের একেবারে সামনের দিকে ছিলাম আমরা। পিছনে অন্তত পাঁচশো-ছ’শো গাড়ি ছিল। এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।’’ বাসেই থাকা বোঁয়াইচণ্ডী গ্রামের প্রিয়াঙ্কা মাহাত, প্রণতি সাহারা জানান, কাহিল হয়ে পড়েন প্রবীণ ও শিশুরা। তাঁরা জানান, আটকে পড়ার খানিক বাদেই জল, খাবার ফুরিয়ে যায়। শেষমেশ বাসের কয়েক জন দু’টি বড় হাঁড়ি আর কয়েকটি বোতল নিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূর থেকে জল আনেন।

Advertisement

বাসযাত্রী জয়ন্ত মাহান্ত, শেখ কুদ্দুস আলিরা বলেন, “আমাদের কাছে চাল-ডাল ছিল। জলের সন্ধান পেতেই পড়ন্ত বিকেলে খিচুড়ি হয়ে গেল। রাস্তায় বসে খেলাম।’’ শেষমেশ বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ অবরোধ ওঠে বলে জানা গিয়েছে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পর্যটকেরাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement