Model Village

৫০টি ‘মডেল গ্রাম’ তৈরির পরিকল্পনা

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০১:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি

জেলায় ৫০টি ‘মডেল গ্রাম’ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানাল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পুজোর ছুটির পরে, এ বিষয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠকে এ বিষয়ে জানানো হয়।

Advertisement

এ দিন জেলার আটটি ব্লকের অধীন বিভিন্ন পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি নিয়েই আলোচনা হয়। সেখানেই জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘৫০টি মডেল গ্রাম তৈরি হবে। বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের গ্রাম বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ বাছাইয়ের কাজ প্রাথমিক ভাবে শুরুও হয়েছে বলে দাবি।

কেন এমন পরিকল্পনা জরুরি হয়ে পড়ল? জেলা প্রশাসনের দাবি, এই বাছাই করা কয়েকটি গ্রামে সম্পদ সৃষ্টি ও স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা-সহ পরিকাঠামো উন্নয়নকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে তা দেখে জেলার আরও কয়েক হাজার গ্রাম সেই পথে হাঁটতে পারে—এমনই ভাবা হয়েছে।

Advertisement

জেলাশাসক জানান, রাজ্য সরকারের গ্রামীণ এলাকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রকল্পগুলির টাকা এই পরিকল্পনা রূপায়ণে ব্যবহৃত হবে। পাশাপাশি, শিল্পাঞ্চলের একাধিক বণিক সংগঠনের কাছেও গ্রাম দত্তক নিয়ে মডেল গ্রাম তৈরির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়ে আশাব্যঞ্জক সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে বলেও দাবি তাঁর। ‘ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর কার্যকরী সভাপতি রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের ‘মডেল গ্রাম’, এই পরিকল্পনায় আমরাও সাধ্যমতো সঙ্গে রয়েছি।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। সে জন্য, আটটি ব্লকের ২৮টি পঞ্চায়েত এলাকায় কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। তবে চালু হয়েছে তিনটি কেন্দ্র। বাকি কেন্দ্রগুলি যাঁরা চালাবেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রগুলি দৈনন্দিন ভিত্তিতে চালানোর দায়িত্বে থাকবে ব্লক প্রশাসন। কেন্দ্রগুলি থেকে সার তৈরি করে তা বাজারজাত করে দৈনন্দিন খরচ উঠে আসবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement