Dead

Bardhaman: ভাতের হোটেলে দেদার বিক্রি! বর্ধমানে সেই মদ খেয়েই মৃত্যু চার জনের?

শহরের বুকে কী ভাবে লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি হচ্ছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ জানাচ্ছে এ ব্যাপারে তারা কড়া ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্ব বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২২ ১৫:২৫
Share:

ভাতের হোটেলে বিক্রি হচ্ছে মদ! নিজস্ব চিত্র।

ভাতের হোটেলে সহজলভ্য মদ! সেই মদ খেয়েই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্ধমান শহরের বুকে কী ভাবে লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। যদিও পুলিশের দাবি, এই ব্যাপারে তারা কড়া ব্যবস্থা নেবে। তবে অভিযোগ যে ভিত্তিহীন নয়, সেটাও ঘুরিয়ে বুঝিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান শহরের কলেজ মোড়ে জিটি রোডের উপর থাকা একটি হোটেলে মদ খেতে যান পাঁচ দিনমজুর। বাড়ি ফিরে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হলে চার জনেরই মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর ক্ষোভ ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে।

মৃত হালিম শেখের মা হানুফা বিবি বলেন, ‘‘কলেজ মোড়ের ওই দোকান থেকে ছেলে প্রায় মদ খেয়ে বাড়ি ফিরত। বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেই ছটফট করতে থাকে। মুখ নিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে থাকে।’’ বৃদ্ধার দাবি, কেন ভাতের হোটেলে এ ভাবে মদ বিক্রি হয় এবং সেই মদে কী ছিল যাতে তাঁর ছেলেকে মরতে হল। হালিমের বিধবা মা, স্ত্রী ছাড়াও এক দাদা ও ভাই আছেন।

Advertisement

অন্য দিকে, সোয়াবরাতির বিয়ে হয়নি। তাঁর বোন এবং এক ভাই আছে। দিনমজুরি করেই তাঁদের সংসার চলত। ওই দুই পরিবারই মদ বিক্রি নিয়ে প্রশাসনকে কঠোর হতে আবেদন করেছেন। বাবু কোলে, জিতেন্দ্র শর্মার মতো স্থানীয়দের দাবি, শহরের কলেজ মোড়, লক্ষ্মীপুর মাঠ, ফটক-সহ বিভিন্ন জায়গায় চোলাইমদ, গাঁজা এমনকি, হেরোইনের কারবার চলে। পুলিশ কড়া না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটনা ঘটবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার হোটেলেই দীর্ঘ দিন মদ বিক্রি হত। বার বার প্রশাসনকে জানানো হলেও পদক্ষেপ করেনি তারা। যদিও পুলিশের দাবি, চার জনের মৃত্যুর পর পদক্ষেপ করেছে তারা। ওই দোকানগুলি বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘কোনও হোটেলেই মদ বিক্রির নিয়ম নেই। কেউ করলে সেটা বেআইনি। পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।’’

অন্য দিকে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ জানিয়েছেন, সেখানে যে তিন জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের খাবার বা পানীয় থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে। ওই সংক্রমণ মদ থেকে ঘটেছে কি না সেটা জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর।

আরও পড়ুন:

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement