— প্রতীকী চিত্র।
বন্ধুদের আড্ডায় বচসা থেকে মারমারি। আর তাতেই মৃত্যু হল এক জনের। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার তাদের আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম বামদেব রায় ওরফে বামা (২৯)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নলা এলাকায়। রবিবার রাতে গ্রামের একটি পুকুরের ধারে কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে বসে গল্পগুজব করছিলেন ওই যুবক। রাত ১০টা নাগাদ নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়ান ওই যুবকেরা। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে বামদেবের মামা অমর রায় আড্ডাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি সবার সঙ্গে কথা বলে ঝগড়া মেটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারই মধ্যে বামদেবকে ঘুষি মারেন রাজেশ রায় নামে এক যুবক। তাতে গ্রামের ঢালাই রাস্তায় পড়ে গিয়ে চোট পান বামদেব। সেখান থেকে ভাগ্নেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন অমর। অভিযোগ, সেই সময় রাজেশ বামদেবকে হুমকি দেন যে, একা পেলে তাঁকে খুন করবেন।
এই ঘটনার কিছু ক্ষণ পরে মামার বাড়ি থেকে বামদেব নিজের বাড়ি যেতে চান। মামা তাঁকে কিছুটা পথ এগিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রামের রাস্তায় পাশে বামদেবের দেহ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। পাশাপাশি তদন্তে নেমে কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম রাজেশ রায়, প্রদীপ মাঝি এবং রাহুল দোলুই। মেমারি থানার রাজপুর গ্রামে রাহুলের বাড়ি। বাকি দু’জনের বাড়ি নলা গ্রামেই।
সোমবার ধৃতদের তিন জনকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন সিজেএম চন্দা হাসমত। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় ছিলেন অভিযুক্তেরা।