রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে ভাব জমাতে দেখেই সন্দেহ হয়েছিল তাঁদের। মনে পড়ে গিয়েছিল মাসদুয়েক আগে টাকার ব্যাগের নামে কাগজের বান্ডিল ধরিয়ে বৃদ্ধার গয়না লুঠের ঘটনা। শেষে, সোমবার ওই সন্দেহভাজনদের আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দিল কাটোয়া হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরাই।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে একটি গাড়িতে চেপে জনা দুয়েক যুবক হাসপাতাল চত্বরে ঢোকে। বেশ কয়েকজন রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে জমিয়ে খোসগল্প করতে দেখা যায় তাঁদের। সঙ্গে ছিল কয়েকটা কালো ব্যাগ। ওই যুবকদের যেচে আলাপ জমাতে দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতালের কয়েকজন কর্মীর। তিন যুবককে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। জানা যায়, গাড়ির চালক ছাড়া বাকি দু’জন বারাসাত ও নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। পূর্বস্থলীতে এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। সেখান থেকে এসেছিলেন কাটোয়া হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে কেন, তার সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা। যুবকদের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালের এক কর্মী জানান, ‘‘সঙ্গে কালো ব্যাগ ছিল। বারবার বলছিল হাসপাতালে বেড়াতে এসেছে। তাতেই সন্দেহ হয়।’’
মাসদুয়েক আগে এরকম কালো ব্যাগ ধরিয়েই প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল। অন্তঃস্বত্ত্বা নাতনিকে নিয়ে এসেছিলেন নদিয়ার কালীগঞ্জের বাসিন্দা মিনতি ঘোষ। সকালে আপদকালীন বিভাগের সামনে গাছতলায় বসে থাকাকালীন মিনতিদেবীর সঙ্গে এসে গল্প জোড়েন এক যুবক। ‘দিনকাল ভাল নয়, এত গয়না পরে থাকবেন না, ওগুলো আমায় দিয়ে আমার টাকার ব্যাগটি ধরুন’ বলে প্রৌঢ়ার সোনার চুড়ি ও একজোড়া দুল নিয়ে চম্পটও দেয় সে। খানিক পরে ব্যাগ খুলে বৃদ্ধা দেখেন উপরে দু’তিনটে একশো টাকার নোট রয়েছে, কিন্তু নীচে পুরোটাই কাগজ। হাসপাতালের কর্মীদের দাবি, এই যুবকেরাও ওই একই পদ্ধতিতে রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলছিল। তা দেখে সন্দেহ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।