Durgapur

চার দেহ উদ্ধারে ধৃত মা-সহ তিন

সোমবার আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ০৮:০৭
Share:

আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ধৃতদের। নিজস্ব চিত্র

স্ত্রী রূপা (৩১), ছেলে নিমিত, মেয়ে নিকিতা-সহ অমিত মণ্ডল (৩৬) নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল দুর্গাপুরের কুড়ুরিয়াডাঙার মিলনপল্লিতে। রবিবার ওই চারটি দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় শহরে। অমিতের শ্বশুরমশাই বিশ্বম্ভর পাল খুনের অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে অমিতের মা বুলুরানি, মামার ছেলে প্রশান্ত নায়েক এবং আরেক ছেলের স্ত্রী শিলা নায়েককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

সোমবার আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” সোমবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে প্রশান্তকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজত এবং বুলুরানি ও শিলাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, বধূ নির্যাতন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও পণপ্রথা বিরোধী আইন ভঙ্গের ধারা দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পরে রবিবার রাতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এ দিকে, রবিবার গ্রেফতার হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে বুলুরানি দাবি করেছিলেন, বাড়ির একতলায় তিনি থাকতেন। ঘটনার দিন রাতে দোতলার ঘরে কী ঘটেছিল, তা টের পাননি। পাশাপাশি, অমিতের সঙ্গে কয়েক মাস ধরে কোনও যোগাযোগও ছিল না। অমিতের মামা সুধীরচন্দ্র নায়েক এ দিনও দাবি করেছেন, “আমাদের সঙ্গে অমিতের কোনও অশান্তি ছিল না।” তবে রূপার মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষের দাবি, “সম্পত্তির লোভে নৃশংস ভাবে চার জনকে খুন করা হয়েছে। জামাইবাবুর হাত বাঁধা, পা খাটে লেগে ছিল। এ ভাবে কারও মৃত্যু হতেপারে না।”

Advertisement

যদিও, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী, সন্তানদের মেরে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন অমিত। সম্ভবত মৃত্যু নিশ্চিত করতেই ঝুলে পড়ার আগে নিজের দুই হাত শক্ত করে শরীরের সঙ্গে বেঁধে নিয়েছিলেন অমিত। ফরেন্সিক বিভাগের সূত্রেও দাবি, প্রাথমিক ভাবে খুনের ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। তবে এখনও সবটাই প্রাথমিক স্তরে। সব সম্ভাবনার দিকই খোলা রাখছেন তদন্তকারীরা। চারটি দেহই ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। ময়না-তদন্তের পরে সোমবার সন্ধ্যায় দেহগুলি পৌঁছয় মিলনপল্লিতে। বহু মানুষ সেখানে জড়ো হন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement