জখম পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।
স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ুয়াদেলর উপরে লাঠি হাতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বহিরাগত কয়েক জন যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাত্রদের বাঁচাতে এলে নিগ্রহ করা হয় দু’জন শিক্ষককেও। বুধবার দুপুরে কাঁকসার পানাগড় হিন্দি হাইস্কুলের ঘটনা।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে টিফিনের বিরতির সময়ে স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে তার দাদা বিশাল সিংহ, তার সঙ্গী সূরজ সিংহ-সহ কয়েক জন বহিরাগত যুবক লাঠি, চেন হাতে ঢুকে পড়ে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা দশম শ্রেণির নানকি চৌধুরী, রাজ পাণ্ডে এবং দ্বাদশ শ্রেণির রাজীব সাউয়ের উপরে চড়াও হয় ওই তিন জন। নানকিদের এলোপাথাড়ি মারধর করা হচ্ছে দেখে চিৎকার জোড়ে আশেপাশে থাকা অন্যান্য পড়ুয়ারা। এরপরই ছাত্রদের বাঁচাতে আসেন স্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ সাউ ও রাজকুমার সিংহ। অভিযোগ, তাঁদেরও নিগ্রহ করা হয়।
রাজকুমারবাবু জানান, শিক্ষকদের নিগ্রহ করা হচ্ছে দেখে বেশ কয়েক জন ছাত্র ছুটে এলে বহিরাগতরা চম্পট দেয়। বিশাল পাশের স্কুলপাড়ায় গা ঢাকা দেয়। খানিক বাদে বিশালকে পাকড়াও করে পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে চলে আসেন কাঁকসা থানার পুলিশ কর্মীরাও। অভিযুক্ত বছর বাইশের বিশালকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তেরা পানাগড়ের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
জখম তিন জন পড়ুয়াকেই কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, রাজ পাণ্ডে চোখে চোট পেয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পথে রাজ বলে, ‘‘কোনও গোলমাল হয়নি। আচমকা ওরা মারধর করতে শুরু করে।’’
যদিও স্কুল সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে কিছু বিষয় নিয়ে নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার সঙ্গে গোলমাল বাধে নানকিদের। তবে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে তখনকার মতো তা মিটেও যায়। তবে এ দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ প্রসাদ বলেন, ‘‘আজ ছিলাম না। কেন এমন ঘটনা, খতিয়ে দেখা হবে। স্কুলে গিয়ে পরিচালন সমিতি ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ঘটনার কথা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিশালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক।