Murder

‘বন্ধু’কে খুনের অভিযোগে ধৃত ২

শনিবার দুপুরে মেমারি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরিকল্পনা করে খুন ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে নিহতের ‘বন্ধু’-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হলেন মেমারির সিমলা গ্রামের উত্তম রায় ও আন্নু রায়। আন্নুর আদি বাড়ি অবশ্য ঝাড়খণ্ডে। সোমবার ভোরে পুলিশ তাঁদের ধরে। ধৃতদের এ দিনই আদালতে তোলা হলে, ভারপ্রাপ্ত সিজেএম চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সিমলা গ্রামের যুবক, এলাকায় ফুটবল খেলোয়াড় বলে পরিচিত মানিক টুডু (২৭) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন। শনিবার দুপুরে মেমারি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ওই দিনই এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে মানিকের পরিজনেরা জানতে পারেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে চিৎকার-চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়েছিল কয়েকজন। সে কথার উপর ভর করে শনিবার পুকুরে জাল ফেলা হয়। রাতে পুকুর থেকে মানিকের দেহ মেলে। এর পরেই স্থানীয়রা উত্তমের বাড়ি চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়, পরে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ।

রবিবার বিকেলে নিহতের দাদা বাবুরাম টুডু মেমারি থানায় ওই দু’জনের নামে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, ভাইয়ের কপালের পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তের দাগও দেখা গিয়েছে। তাঁর সন্দেহ, মানিককে খুন করে পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তিনি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত চেয়েছেন।

Advertisement

রবিবারই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বাবুরাম বলেছিলেন, “অনেকে উত্তমের সঙ্গে টোটোয় করে ভাইকে ঘুরতে দেখেছে। অথচ উত্তম বারবার অস্বীকার করেছে। আমরা সবাই যখন ভাইকে খুঁজছি, তখন সে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। সে কারণেই সাধারণ মানুষের রাগ উত্তমের উপর পড়েছে।’’ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে খুন ও প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা রুজু করেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের দাবি, জলে ডুবে মানিকের মৃত্যু হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ও ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে তথ্য জোগাড় করা হবে বলেও পুলিশের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement