দুর্ঘটনাস্থলে। নিজস্ব চিত্র।
পর পর দু’টি অটোকে ধাক্কা মারল ট্রাক। এর জেরে এক অটোচালক এবং এক জন অটো যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন এক অটো চালক এবং তিন অটো যাত্রী। শনিবার দুপুরে আসানসোল দক্ষিণ থানার ঘাঘরবুড়ি মন্দির লাগোয়া ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। দুর্ঘটনার জেরে কিছুক্ষণ যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। দেহগুলির ময়না-তদন্ত করানো হয়েছে। ট্রাকটি আটক করা হলেও, চালক ও খালাসি পলাতক। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন ইন্দ্রজিৎ দত্ত (২৪) এবং নীলেশ সাউ (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ২ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে ঘাঘরবুড়ি মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল দু’টি অটো। একটি অটো খালি থাকলেও, অন্যটিতে চার জন যাত্রী ছিলেন। জাতীয় সড়ক ও মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার সংযোগস্থলে ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে দুর্গাপুরগামী লেন দিয়ে যাওয়া দ্রুতগতির একটি ট্রাক প্রথমে খালি অটোটিকে, পরে যাত্রিবোঝাই অটোটিকে ধাক্কা মারে। বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে পৌঁছয় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশও। রক্তাক্ত অবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা অটো চালক ইন্দ্রজিৎ এবং অটোর যাত্রী নীলেশকে মৃত ঘোষণা করেন। নীলেশের সম্পর্কিত দুই ভাইয়ের চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে, জখম অন্য এক যাত্রী এবং এক অটো চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে।
দুর্ঘটনায় জখম অটোর যাত্রী দীপক সাউ হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে জানালেন, তাঁদের নিকটাত্মীয় নীলেশ ছটপুজো উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশ থেকে তাঁদের বাড়ি সাতগ্রাম ফটকে বেড়াতে এসেছিলেন। শনিবার তাঁরা দু’ভাই নীলেশকে সঙ্গে নিয়ে ঘাগরবুড়ি মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “এমন অবস্থা হবে, দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি!”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়ক পেরিয়ে ঘাঘরবুড়ি মন্দিরে যাওয়ার সংযোগস্থলে কোনও ডিভাইডার নেই। যান নিয়ন্ত্রণের জন্য গার্ডরেল বসানো আছে। শনিবার ওই সময় মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা, তা দেখা হচ্ছে।