প্রতীকী ছবি।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল শেখ আনারুল (৩০) এবং ইন্দ্রজিৎ মিস্ত্রি (২১) নামে দুই মোটরবাইক আরোহীর। শনিবার ২ নম্বর জাতীয় সড়কে, পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের সাধুনগরের ঘটনা। মৃত দু’জনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন তিনটি মোটরবাইকে করে ছ’জন বন্ধু পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বুদবুদের সাধুনগরের কাছে একটি লোহার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে ইন্দ্রজিৎ ও আনারুলের বাইকটি। ইন্দ্রজিৎ বাইকটি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় দু’জনেই গুরুতর চোট পান। পুলিশ দু’জনকে দ্রুত উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠালে, সেখানেই কিছুক্ষণ পরে তাঁদেরমৃত্যু হয়।
ওই দলটির সদস্য পলাশ নিয়োগী বলেন, “রাত ৩টেয় মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলাম আমরা। ইন্দ্রজিৎদের মোটরবাইকটি সবার আগে ছিল। আমরা এসে দেখি, দু’জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এমন ঘটনা ঘটতে পারে, দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।” পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছে। মহকুমা হাসপাতালে দেহের ময়না-তদন্ত করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন যে মোটরবাইকটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, সেটির গতি অত্যন্ত বেশি ছিল। এ দিকে, রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। সে কারণে রাস্তার নানা জায়গায় ‘ডাইভারশন’ করা হয়েছে। ডিভাইডারও দেওয়া হয়েছে। ফলে, রাস্তা নানা জায়গায় সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দ্রুত গতিতে থাকলে, রাস্তার এ সব অংশে গাড়ি বা মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণে রাখাটা সমস্যার হয়ে পড়ে।
নিত্যযাত্রীদের একাংশের দাবি, রাস্তার এমন সমস্যার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা দরকার। যদিও পুলিশের দাবি, রাস্তার যেখানে-যেখানে কাজ চলছে, সেখানেই গাড়ি আস্তে চালানোর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া আছে। তাছাড়া, বিভিন্ন মোড়ে পুলিশকর্মীদেরও নিয়োগ করা হয়। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটেরর এসিপি (কাঁকসা) সুমন জয়সওয়াল বলেন, “একটি দুর্ঘটনায় দু’জন মোটরবাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে আরও নজরদারি চালানো হবে।”