ঝাড়খণ্ড যাওয়ার পথে এই বাসটিই দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। নিজস্ব চিত্র
পর্যটকদের নিয়ে আসা একটি বাস উল্টে গিয়ে জখম হলেন ১৩ জন। বৃহস্পতিবার রাতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে রানিগঞ্জের পঞ্জাবি মোড়ের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ২টো নাগাদ ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে সেটির উপরে উঠে পড়ে বাসটি। এক দিকে কাত হয়ে উল্টে যায় তা। এলাকাবাসীই জখমদের উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হুগলির ত্রিবেণী শিবমন্দিরপাড়া থেকে ওই দিন রাতে ৬৬ জন পর্যটকের একটি দল ঝাড়খণ্ডের রাজারাপ্পা বেড়াতে যাচ্ছিলেন। বাসযাত্রী শুভঙ্কর সাহা জানান, তাঁরা সকলেই বাঁশবেড়িয়া, ত্রিবেণী ও মগরার বাসিন্দা। শুভঙ্করবাবু বলেন, ‘‘রাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রচণ্ড ঝাঁকুনি। এক জন আর এক জনের ঘাড়ের উপরে পড়ে গেলাম। যাত্রীরাই আপৎকালীন দরজার কাচ ভেঙে বেরোতে শুরু করেন। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী আসেন।’’ বাপি সরকার নামে অন্য এক যাত্রীর দাবি, বাসের বাইরে বেরিয়ে তাঁরা দেখেন সামনের চাকা খুলে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসের খালাসি রঘু দাস ডান হাতে চোট পেয়েছেন। সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাত্রীরা জানান, যে পর্যটন সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা বেড়াতে যাচ্ছিলেন, সেই সংস্থা অন্য একটি বাস পাঠালে তাতে করে তাঁরা বাড়ি ফিরে যান।
এই দুর্ঘটনার পরে রানিগঞ্জের ট্র্যাফিক পুলিশ এবং আমরাসোঁতা ফাঁড়ির আধিকারিক ও কর্মীরা জানান, পঞ্জাবি মোড় থেকে কলকাতা ও সিউড়ি রোড ডিভাইডার দিয়ে ভাগ করেছেন সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ডিভাইডারগুলি খুবই নিচু। নেই ‘রিফ্লেক্টর’। ফলে, দূর থেকে বোঝা যায় না। এক বছরে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে প্রায় পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে ডিভাইডারগুলি উঁচু করা ও কিছুটা দূরে পথ-নির্দেশিকা টাঙানোর আর্জি জানানো হয়েছে। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে স্বপনকুমার মল্লিক বলেন, ‘‘বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী সব কাজ করা হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসনের প্রস্তাব নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হবে। তা অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’