রাস্তা বদলে ছাড় পেল ১২ মদের দোকান

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে জেলার ৩৪২টির মধ্যে ১৩৪টি মদের দোকান ও পানশালার ঝাঁপ বন্ধ হয়েছিল। রাতারাতি রাজস্ব কমা রুখতে বেশ কিছু রাজ্য সড়কের চরিত্র বদলে নির্দেশের ফাঁক গলে বেরনোর চেষ্টাও হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৫২
Share:

প্রতীকী ছবি

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে জেলার ৩৪২টির মধ্যে ১৩৪টি মদের দোকান ও পানশালার ঝাঁপ বন্ধ হয়েছিল। রাতারাতি রাজস্ব কমা রুখতে বেশ কিছু রাজ্য সড়কের চরিত্র বদলে নির্দেশের ফাঁক গলে বেরনোর চেষ্টাও হয়। তবে তাতেও ছাড় পেল হাতেগোনা কয়েকজনই। দেখা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে ১২টি রাস্তার নাম বদলে খোলা গিয়েছে ১২টি দোকান।

Advertisement

‌এ মাসের গোড়াতেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কের পাঁচশো মিটারের মধ্যে মদের দোকান বা পানশালা বন্ধ রাখতে হবে। ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দা রয়েছে এমন পঞ্চায়েত এলাকাতেও এই নির্দেশ কার্যকরী হবে। এর পরেই মদের দোকান ‘বাঁচাতে’ পুরসভার ভিতর দিয়ে যাওয়া রাজ্য সড়কের চরিত্র বদল করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পূর্ত দফতর। বর্ধমান, কাটোয়া, কালনা, মেমারি ও গুসকরা—এই ছ’টি পুর এলাকার ভিতর দিয়ে যাওয়া কয়েক কিলোমিটার রাজ্য সড়ক পুরসভার হাতে চলে যায়। কিন্তু তাতেও লাভ হয় না তেমন। এ জেলায় মূলত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ও এসটিকেকে রোডের ধারেই মদের দোকান বা পানশালা বেশি রয়েছে। সেগুলি খোলার সম্ভাবনা আপাতত নেই। যদিও ওই সব দোকানের মালিকেরা দোকান পিছিয়ে দিলে অসুবিধা থাকবে না বলে দাবি জেলা আবগারি দফতরের এক কর্তার।

জেলা প্রশাসন ও আবগারি দফতর সূত্রে জানা যায়, শহরের ভিতরে থাকা রাজ্য সড়কের উপর বর্ধমানে ৪টি, গুসকরা, মেমারি, দাঁইহাটে একটি করে, কাটোয়াতে ৩টি ও কালনায় দু’টি দোকান—মোট ১২টি দোকান খুলেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধানদের কাছ থেকে জনসংখ্যার ভিত্তিতে শংসাপত্র নেওয়ার কাজ চলছে। আবগারি দফতরের এক কর্তা বলেন, “ওই শংসাপত্র হাতে আসার পর বোঝা যাবে, আরও কিছু মদের দোকান বন্ধ হচ্ছে বা খুলছে। জেলার আবগারি ওসিরা সরেজমিন তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে শুরু করেছে। কয়েকটা দিন পর পুরো ছবিটা সামনে আসবে।” কিন্তু অন্য জেলার রিপোর্ট জমা পড়লেও পূর্ব বর্ধমানের দেরি হচ্ছে কেন? প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “অন্যান্য জেলায় মদের দোকান ও পানশালা মিলিয়ে রয়েছে ১৩০টি। সেখানে শুধু মাত্র পূর্ব বর্ধমানেই রয়েছে ৩৪২টি। কাজেই সম্পূর্ণ রিপোর্ট করতে সময় লাগছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement