ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আদালতে। — নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে গরু পাচার-কাণ্ডে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। এই আবহে গরু পাচারকারী সন্দেহে এ বার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হল ১১ জনকে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। পুলিশ দু’টি গাড়ি-সহ ২১টি গরু আটক করেছে।
বুধবার রাতে দু’টি গাড়িতে বোঝাই করে ওই গরুগুলিকে কেতুগ্রামের পাচুন্দির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই গাড়িটি কেতুগ্রাম থানার দাসপাড়া এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। অপর গাড়িটি কেতুগ্রামের কাঁদরার দিক থেকে পাচুন্দির দিকে যাওয়ার সময় কোমরপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। গাড়ি দু’টি আটক করে যাঁরা গরু নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁদের কাছে কাগজপত্র দেখতে চায় পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁরা কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তার জেরে পুলিশ গরুগুলি আটক করে। গ্রেফতার করা হয় মোট ১১ জনকে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম, সফিকুল আলম, জেরু শেখ, মেরু শেখ, জহুর শেখ এবং তাপস হাজরা। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি কেতুগ্রাম থানা এলাকায়। তাঁদের কাছ থেকে আটক করা হয়েছে মোট ১০টি গরু। এ ছাড়া অন্যান্য ধৃতদের নাম বজলুল শেখ, লালন শেখ, মইনুদ্দিন শেখ ওরফে ধানু শেখ, মোসেদ শেখ ওরফে বজু, মুকুল শেখ এবং নুর হক শেখ। তাঁদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট এলাকায়। তাঁদের কাছে পাওয়া গিয়েছে ১১টি গরু।
কাটোয়া মহকুমাার মঙ্গলকোট থানার কৈচর এবং কেতুগ্রাম থানার পাচুন্দি এলাকায় গরুর হাট বসে। পাচুন্দি হাটে বহু গবাদিপশু কেনাবেচা হয়। প্রতি বৃহস্পতিবার পাচুন্দির হাট বসে। রবিবার বসে কৈচরের হাট। কেতুগ্রামের হাটে বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ এলাকা থেকে অনেকেই গবাদিপশু নিয়ে যান। তাঁরা আগের দিন রাতের মধ্যে হাটে প্রবেশ করেন। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত এবং অনেকের গ্রেফতারের পর থেকে রাজ্যের পশু হাটগুলিতে গরু কেনাবেচা কমে গিয়েছে। এ নিয়ে তৎপর রাজ্য পুলিশও। পুলিশি নজরদারি চলছে সড়কপথেও। যাঁরা পশু নিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের আটক করে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইছে পুলিশ।
সপ্তাহ দু’য়েক আগেই কেতুগ্রামে কাগজপত্র ছাড়াই বেশ কয়েকটি গরু নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ নয় জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে আটক করা হয় ২০টি বাছুর এবং ২৭টি বলদ। ওই ঘটনার পর আবার কেতুগ্রামে গ্রেফতার করা হল ১১ জনকে।