প্রতীকী ছবি।
করোনার আবহে অত্যাবশ্যক পরিষেবা হিসেবে ব্যাঙ্কে গিয়ে কাজ করতে গিয়ে বহু কর্মীর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের শাখা বন্ধও করে দিতে হয়েছে সংক্রমণ ছড়ানোয়। তার পরেই ব্যাঙ্ক কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছিল ইউনিয়নগুলি। সেই দাবি অনুযায়ী, প্রতি শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করল রাজ্য, নিগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট মোতাবেক। ফলে আপাতত প্রত্যেক শনি, রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। এখন মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার ব্যাঙ্ক খোলে না। সোমবার রাজ্য জানিয়েছে, আপাতত অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।
এর পাশাপাশি রাজ্য ভিত্তিক ব্যাঙ্কার্স কমিটিকে (এসএলবিসি) সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, চাইলে সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়ে প্রতি দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পরিষেবা দিতে পারে তারা। বলা হয়েছে, সংক্রমণের আশঙ্কা রুখতে গ্রাহকদের মধ্যে দূরত্ববিধি বজায় রাখার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ করুক এসএলবিসি।
ভাইরাস সমস্যার মধ্যেও ব্যাঙ্ক কর্মীরা লাগাতার পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। আর্থিক সমস্যার মোকাবিলা করতে একাধিক অনুদান এবং বিশেষ ঋণ প্রকল্প চালু হয়েছে দেশ জুড়ে। ফলে তাঁদের কাজও বেড়েছে। অথচ পরিষেবা দিতে গিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের বহু মানুষের সংস্পর্শে আসতেই হয়। যে কারণে, হালে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়তে দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে। রাজ্যে বহু কর্মী আক্রান্ত। কর্মী ইউনিয়নগুলির দাবি, ৫০ জনেরও বেশি মারা গিয়েছেন। সাময়িক ভাবে বন্ধ বেশ কিছু শাখা ও কারেন্সি চেস্ট।
আরও পড়ুন: মমতার মাস্টারস্ট্রোক, রোগ ছড়ানো কমবে, মত বিশেষজ্ঞদের
এই অবস্থায় কর্মীদের সুরক্ষার খাতিরে প্রতি শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার পাশাপাশি পরিষেবার সময় কমানোর জন্যও রাজ্য ও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছিল ইউনিয়নগুলি। ইতিমধ্যেই কর্নাটক সরকার প্রতি শনিবার ব্যাঙ্কে ছুটি দিয়েছে। কর্নাটক, ওড়িশা, কেরল, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে কমেছে ব্যাঙ্ক পরিষেবার সময়।
আইবকের রাজ্য সম্পাদক সঞ্জয় দাস, এআইবিএর সভাপতি রাজেন নাগর, ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন্সের আহ্বায়ক সিদ্ধার্থ খান, সকলেই একে স্বাগত জানান। তবে অভিয়োগ, রেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কর্মীদের জন্য চালানো লোকাল ট্রেনে স্বাস্থ্য কর্মীদের উঠতে দিচ্ছেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্মীরা ওই সুবিধা পাচ্ছেন না।