অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ
ঋণ চাই? এ বারে সে জন্য প্রাথমিক শিক্ষকের কাছ থেকে টেট পাশের নথি দেখতে চাইল খোদ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক।
নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্যের শিক্ষামহল। এর মধ্যেই বহু শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। সিবিআই তদন্তের স্বার্থে এই নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও চাইছে শিক্ষা দফতরের কাছ থেকে। সেই মতো জেলায় জেলায় প্রশাসনিক নির্দেশও গিয়েছে। এরই মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলায় পারোকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রাথমিকের এক শিক্ষককে ঋণ দিতে গিয়ে টেট পাশের নথি চাইলেন উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, দিন দশেক আগে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তাঁদের সলসলাবাড়ি শাখায় ঋণের আবেদন জানাতে গেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের কাছে টেট পাশের নথি দেখতে চান। ওই শিক্ষকদের পাশের নথি দেওয়ার পরেই তাকে ঋণ দেওয়া হয়। যদিও এই নিয়ে উপরমহল থেকে কোনও লিখিত নির্দেশ তাঁদের কাছে এখনও আসেনি বলেও দাবি। ওই ব্যাঙ্কের সলসলাবাড়ি শাখার ম্যানেজার সুশান্তকুমার মারাক ঘটনাটি মেনে নিয়ে বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টের একটি নির্দেশ দিয়েছে। তাতে ২৬৯ জনের চাকরি গিয়েছে। সিবিআই তদন্তও চলছে। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে আমরা টেট পাশের নথি দেখে তবেই প্রাথমিক শিক্ষকদের ঋণ দিচ্ছি। অবশ্য এই নিয়ে কোনও লিখিত নির্দেশ আমাদের কাছে এখনও আসেনি।’’
আলিপুরদুয়ার জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অশোক কুমার বলেন, “এমনটা হয়ে থাকলে তা কেন হচ্ছে, সে ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সদর দফতরে কথা বলব।” আলিপুরদুয়ার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুজিত সরকার বলেন, “ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব, তাঁরা যেন একটু মানবিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখেন।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।