সাংবাদিক বৈঠকে বনগাঁর যুব তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ। নিজস্ব চিত্র।
বনগাঁর প্রাক্তন পুরপিতা শঙ্কর আঢ্যের বিস্ফোরক বক্তব্য নিয়ে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক বনগাঁর যুব তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ দেবনাথের। শঙ্করের মন্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে, তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলেও জানান সন্দীপ।
সম্প্রতি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপিতা শঙ্কর আঢ্য, ২০১৫ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন। এ বার তার পাল্টা জবাব এল। বনগাঁ জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ সাংবাদিক বৈঠক করে পর পর তোপ দাগলেন শঙ্করের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘‘উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাগলের প্রলাপ বকছেন। আমরা তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচনে জিতি। অবশ্যই জানা দরকার, আমাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও তৃণমূলের প্রতীক ছাড়া আর কিছুই থাকে না। ২০১৫ সালেও এ ভাবেই মানুষের কাছে ভোট চেয়েছিলাম। মানুষের আশীর্বাদে জয় এসেছিল।’’ সন্দীপের চ্যালেঞ্জ, ‘‘বনগাঁর প্রাক্তন পুরপিতা ও তাঁর স্ত্রী কী ভাবে ভোটে জিতেছিলেন, ওঁরা বুকে হাত রেখে বলুন। সাধারণ মানুষ ওঁর দ্বারা পদে পদে অত্যাচারিত।’’
এ বিষয়ে বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘এখন প্রাক্তন পুরপিতাকে ঝেড়ে ফেলার জন্য তৃণমূল এ সব বলছে। উনি যা যা করেছেন তৃণমূল জানত না, এটা কতটা বিশ্বাসযোগ্য? ২০১৯ সালেই বনগাঁর মানুষ এর বিচার করেছেন।’’
সম্প্রতি মিলনপল্লি এলাকায় একটি বিজয়া সম্মিলনীর আসরে শঙ্কর বলেন, ‘‘আমি জীবনে যদি কোনও রাজনৈতিক ভুল করে থাকি, তা হলে তা করেছি ২০১৫ সালে পুরভোটের সময়। যদিও সেই ভুল স্বেচ্ছায় নয়, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথায় করেছিলাম। বামফ্রন্ট অধ্যুষিত এলাকায় সকাল সকাল ভোট হচ্ছিল। হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় ছুটে গিয়েছিলাম বনগাঁ হাইস্কুলে। আমিও প্রার্থী ছিলাম ওই ভোটে। তবুও জেলার প্রিয় মন্ত্রীর নির্দেশে ছুটে গিয়েছিলাম। নিজে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট করিয়েছিলাম। ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা চাওয়া অপরাধ নয়।’’ মনে করা হচ্ছে নিজের মন্তব্যে প্রিয় মন্ত্রী বলতে ওই জেলা থেকেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেই ইঙ্গিত করেছিলেন শঙ্কর।