—ফাইল চিত্র।
বালি পুরসভা আর হাওড়া পুরসভার অংশ নয়। শুক্রবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূল পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই প্রস্তাবটি অধিবেশনে পেশ করেন। এই প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করেন বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় ও কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। তারপরই প্রস্তাবটি ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায়। তবে প্রস্তাব পাশ করেই বিষয়টি থেমে থাকছে না। বিষয়টিতে আইনি বৈধতা পেতে আগামী ১৭ নভেম্বর বিধানসভার অধিবেশনে ‘দ্য হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল ২০২১’ আনা হবে। ওই দিন বিলটি আলোচনার পর পাশ হবে। বালির বিধায়ক রানা বলেন, ‘‘স্থানীয় মানুষের দাবি ছিল পুরসভার কাজ স্থানীয়, তা স্থানীয় ভাবেই হোক। হাওড়া পুরসভা অনেক দূর হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু নতুন করে সরকার বালি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা বালির বাসিন্দা হিসেবে খুশি।’’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। তৈরি হয় হাওড়া পুরসভার নতুন ১৬টি ওয়ার্ড। ওই বছরের অক্টোবর মাসে ১৬টি আসনে উপনির্বাচন হয়। সবক’টি আসনেই জয় পায় শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু চলতি বছর ভোটের আগে ২১ জানুয়ারি বালি পুরসভাকে আলাদা করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাশ হয়ে যায়। আর শুক্রবার সেই বিষয়ে প্রস্তাব আনা হয় বিধানসভার অধিবেশনে। যা ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে গেল। এ বার আইনমাফিক হাওড়া পুরসভাকে তার পুরনো রূপে ফিরিয়ে আনা হবে। আগের মতোই ৫০টি ওয়ার্ড হবে হাওড়ায়। সেই কারণে সংশোধনী বিল আনা হবে। সঙ্গে নতুন করে গঠিত হবে বালি পুরসভা। ১৮৬২ সালে তৈরি হয় হাওড়া পুরসভা। সেই সময় বালি ছিল হাওড়া পুরসভার অংশ। কিন্তু ১৮৮৩ সালে বালিকে হাওড়া থেকে আলাদা করে নতুন পুরসভা গঠন করা হয়েছিল। ২০১৫ সালের ১০ জুলাই পুনরায় বালিকে হাওড়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। ফের হাওড়া থেকে আলাদা হল বালি।