(বাঁ দিকে) মানিক ভট্টাচার্যের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে আগেই জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। জামিনের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন মানিকের পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যও। কিন্তু তাঁর আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। বুধবার ওই মামলার শুনানির কথা ছিল। আদালত জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে।
জামিন চেয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে আবেদন জানান শৌভিক। বুধবার সেখানে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে তদন্তকারী সংস্থা ইডির তরফে কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হয়। তারা জানায়, এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক পরিবর্তিত হয়েছেন। নতুন করে এই মামলায় ইডির বক্তব্য জানানো হতে পারে। তার জন্য দু’দিন সময় দরকার।
বিচারপতি ইডির বক্তব্য শুনে আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেছেন। সেই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানির দিনই ইডিকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য আদালতে জানাতে হবে।
নিয়োগ মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল মানিকের স্ত্রী শতরূপা এবং তাঁদের পুত্র শৌভিককে। দু’জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পরে গত ৭ অগস্ট শতরূপার জামিন মঞ্জুর হয়। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শতরূপা যে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নিয়েছিলেন সেই প্রমাণ দেখাতে পারেনি ইডি। প্রথম বার সমন পেয়েই তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। তা হলে শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয় দিন তাঁকে কেন আটক করা হল? এ ব্যাপারে মানিকের নাম করে বিচারপতি ঘোষ বলেন,‘‘মানিক অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে টাকার যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু শতরূপাও যে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তার কোনও তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর যদি প্রমাণ থেকেই থাকে তবে প্রথমেই তাঁকে কেন গ্রেফতার করল না ইডি?’’
এর পর শতরূপাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। আদালত জানিয়েছিল, এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন পাবেন শতরূপা। তিনি রাজ্যের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না। এ ছাড়া, তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে ইডির কাছে। তার পরেই মানিক এবং শতরূপার পুত্র শৌভিকও জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন।