প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত শুনানি ছিল। শুনানির পর রায় ঘোষণা আপাতত স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেই থেকে তিনি জেলে। জামিন চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক। এই সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন আগের দিন মানিক কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। আদালতে ইডি জানিয়েছিল, মানিকের ছোট ভাইয়ের বয়ানকে হাতিয়ার করে জামিনের বিরোধিতা করছে তারা। কেন্দ্রীয় সংস্থার এই বক্তব্য শোনার পর কেঁদে ফেলেন মানিক। তিনি জানান, গ্রেফতারির সময় তাঁর ভাই সিবিআইকে কী বলেছেন, জামিনের ক্ষেত্রে তা বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। ওই দিন জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন মানিক।
এর আগে প্রাথমিক নিয়োগের মামলায় ইডির তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে মানিক বলেছিলেন, ‘‘তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে আমি দু’ফুট করে উঠছি। এক ফুট করে নামছি।’’ অভিযোগ ছিল, বার বার তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠনের সময়ে ইডি দাবি করছে যে, তাদের তদন্ত চলছে। এতে জামিন পেতেও অসুবিধা হচ্ছে। ইডির তদন্তে তিনি হতাশ, জানিয়েছিলেন মানিক। তাঁর বিরুদ্ধে ইডির কাছে কোনও প্রমাণ নেই বলেও দাবি করেছিলেন।
জামিনের আবেদন নিয়ে মানিক এর আগে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু শীর্ষ আদালত মানিকের জামিন মঞ্জুর করেনি। বলা হয়েছিল, ওই জামিন মামলার ত্রুটি সংশোধন করে হাই কোর্টে আবেদন করতে হবে মানিককে। সেই মতো উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে মামলা করেন তৃণমূল বিধায়ক। উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলায় মানিকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। হাই কোর্ট পরে তাঁর স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যকে জামিন দেয়। মানিকের পুত্র শৌভিক জামিন পান সুপ্রিম কোর্ট থেকে। কিন্তু মানিকের জামিন হয়নি। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিনের মামলার শুনানি শেষ হল।