হাতে হাতেই হয়ে গেল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। — নিজস্ব চিত্র।
রোগী গুরুতর অসুস্থ, নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালে। কিন্তু বৈদ্যবাটীর সবিতা দাসের নেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। তা হলে কী উপায়? দুর্ভাবনায় পড়েছিল হুগলির বৈদ্যবাটীর দাস পরিবার। শেষ পর্যন্ত মুশকিল আসান হন এলাকার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর। স্বাস্থ্য সাথীর শিবিরে গিয়ে হাতেনাতে কার্ড করা হয়। অ্যাম্বুল্যান্স রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে।
সোমবার রাতে বৈদ্যবাটী পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বছর ৪২-এর সবিতা দাসের ব্রেন স্ট্রোক হয়। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার দুপুরে সবিতার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলেন চিকিৎসকেরা। রোগীর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই। পারিবারিক স্বচ্ছলতাও নেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর মতো। কলকাতায় নিয়ে গেলে অনেক খরচ। সবিতার স্বামী শম্ভু দাস বৈদ্যবাটি পুরসভার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর বিশ্বজিৎ রায়ের সঙ্গে কথা বলেন। আর্জি জানান, যদি কিছু করা যায়।
সেই সময় বৈদ্যবাটি বিবেকান্দ হাইস্কুলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের কাজ চলছিল। বিশ্বজিৎ দেরি করেননি। দ্রুত বিবেকানন্দ হাইস্কুলে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে আসতে বলেন বিদায়ী কাউন্সিলর। পরিবারের সদস্যরা কলকাতায় যাওয়ার পথে বিবেকানন্দ স্কুলে যান। পুরকর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর রোগীর বায়োমেট্রিক করান। ছবি তোলেন এবং তার পর হাতে হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেন। কার্ড নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয় কলকাতার হাসপাতালের উদ্দেশে।
পুর তৎপরতায় সন্তুষ্ট শম্ভু দাস বলেন, ‘‘এখন সরকারি হাসপাতালেও স্বাস্থ্য সাথী লাগে। স্ত্রীর কার্ড ছিল না। তাই খুব চিন্তায় প়ড়ে গিয়েছিলাম। কী করে চিকিৎসা হবে। কিন্তু পুরসভার পক্ষ থেকে এত দ্রুত কার্ড করে দেওয়ায় খুব সুবিধা হল। ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।’’