বহরমপুরের এই বাড়িতেই শৈশব কেটেছে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
ঘরের মেয়ে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের অকালমৃত্যুতে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে বহরমপুরে।
বুধবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ওষুধ খেতে গিয়ে বিষম লাগে তাঁর। পারিবারিক চিকিৎসক বাড়িতে আসার আগেই কলকাতার বাড়িতে তিনি মারা যান। বহরমপুরের বাড়িতে বসে টিভিতে মৃত্যু সংবাদের ‘ব্রেকিং নিউজ’ দেখে চমকে ওঠেন খুড়তুতো ভাই সমীরণ ভট্টাচার্য। শুধু সমীরণবাবু নন জনপ্রিয় লেখিকার অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তাঁর বহু গুণগ্রাহী।
বহরমপুরের কাদাই এলাকায় ১১ নম্বর রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য লেনে প্রায় ছ’কাঠা জায়গার উপরে দোতলা বাড়িটি সুচিত্রা ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটে। যদিও তাঁর জন্ম মামার বাড়ি ভাগলপুরে। বাবা ধীশঙ্কর ভট্টাচার্য ছিলেন জেসপ কোম্পানির জনসংযোগ আধিকরিক। মা প্রীতিলতাদেবী। তিন ভাই ও দুই বোন। এক ভাই আগেই মারা গিয়েছেন।
সমীরণবাবুর কথায়, খুব ছেলেবেলায় সুচিত্রার নিয়মিত বহরমপুরে যাতায়াত ছিল। বিশেষ করে গরমের ছুটিতে বা বাড়িতে কোনও উৎসব-অনুষ্ঠানে সকলে আসতেন। ভীষণ হুল্লোড় করে সময় কাটত। বহরমপুরের বাড়িতে সুচিত্রাদেবী প্রায় সাত থেকে আট বছর আগে এসেছিলেন। মাস দুয়েক আগে বোলপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠান সেরে বহরমপুরে আসার ইচ্ছেও ছিল তাঁর। কিন্তু অনুষ্ঠানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর আর আসা হয়নি। আর কোনও দিন আসাও হবে না! কারণ অনেক দূরে চলে গিয়েছেন বহরমপুরের ‘কাছের মানুষ’।
রাস্তা অবরোধ। লরি চাপা পড়ে কৃষ্ণনগরের ডনবসকো স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শুভঙ্কর সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা ও স্থানীয় লোকজন। লরিটিতেও আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। বুধবার বিকেলের ঘটনা।