Baguiati double murder

খরচ সামলাতে জোড়া খুন! ‘দাবি’ সত্যেন্দ্রের

সত্যেন্দ্রকে এ দিন বিধাননগর কমিশনারেট অফিসে এনে খানিক ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অতনুর পাশাপাশি অভিষেককে কেন খুন করা হল, সত্যেন্দ্রের থেকে তা জানতে চাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৩৭
Share:

আদালত চত্বরে বাগুইআটির জোড়া খুনের ঘটনায় ধৃত সত্যেন্দ্র চৌধুরি। ছবি: সুমন বল্লভ

দু’টি গাড়ির ভাড়া মেটাতে হচ্ছে। ভাড়াটে খুনিদের রাখতে গিয়ে হোটেলের ভাড়া বাড়ছে। পকেট হালকা হতে শুরু করেছিল। কিন্তু প্রধান লক্ষ্য অতনু দে-কে কিছুতেই একা পাওয়া যাচ্ছে না। আর অতনুকে একা পাওয়ার জন্য আরও অপেক্ষা করলে টাকাও শেষ হয়ে যাবে এবং ভাড়াটে খুনিরাও ফিরে যাবে। সে কারণেই ‘বাধ্য হয়ে’ একের বদলে দু’জনকে সে বেছে নিয়েছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে বাগুইআটির জোড়া খুনের প্রধান অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরি। পুলিশ সূত্রের দাবি তেমনই।

Advertisement

গত ২২ তারিখ রাতে বাগুইআটির জগৎপুরের বাসিন্দা অতনু দে ও তার পিসতুতো ভাই অভিষেক নস্করকে খুন করে সত্যেন্দ্র ও তার ভাড়া করা খুনিরা। কী উদ্দেশ্যে সেই খুন, সত্যেন্দ্রের থেকে পাওয়া জবাবে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। তবে গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তার প্রধান নিশানা অতনুই ছিল বলে সত্যেন্দ্র গোয়েন্দাদের জানিয়েছে।

সত্যেন্দ্রকে এ দিন বিধাননগর কমিশনারেট অফিসে এনে খানিক ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অতনুর পাশাপাশি অভিষেককে কেন খুন করা হল, সত্যেন্দ্রের থেকে তা জানতে চাওয়া হয়। সূত্রের খবর, সত্যেন্দ্র বলে, তার নিশানা ছিল অতনুই। কিন্তু যে দু’বার সে ডেকেছিল, অতনু কাউকে না কাউকে নিয়ে এসেছিল। ভাড়াটে খুনিদের হোটেল ভাড়া আর গাড়ির খরচ আর নাকি সত্যেন্দ্র টানতে পারছিল না। তাই ২২ তারিখেও যখন অতনু একা না এসে ওর ভাই অভিষেককে নিয়ে সত্যেন্দ্রের কাছে যায়, তখন সে অভিষেককেও শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ ছাড়া, অতনু-খুনের কোনও সাক্ষী যাতে না থাকে, সে উদ্দেশ্যও ছিল বলে সত্যেন্দ্র পুলিশকে জানিয়েছে বলে খবর।

Advertisement

সত্যেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা এ দিন জেনেছেন, ধৃতদের সঙ্গে ধাবাকর্মী অভিজিৎ বসুর পাঁচ-ছ’ বছর ধরেই যোগাযোগ। খুনের ঘটনায় দুই ছাত্রকে গলায় ফাঁস দেওয়া-সহ নানা ভূমিকা ছিল অভিজিতের। গোয়েন্দারা জানান, অতনু ও অভিষেককে খুনের পরে ভাড়া নেওয়া লাল গাড়িটি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ফেরত দিয়ে টাকা মিটিয়ে দেয় সত্যেন্দ্র। তার পরে যে যার মতো গা ঢাকা দেয়।

কিন্তু ৫০ হাজার টাকা না-মেটাতে পারলেও তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা দিয়ে খুনি ভাড়া কেন করল সত্যেন্দ্র? সূত্রের দাবি, সত্যেন্দ্র পুলিশকে বলেছে, ওদেরও টাকা না দিয়ে সে পালাবে ভেবেছিল। ধৃত অভিজিৎ এর আগে পুলিশকে জানিয়েছিল, সত্যেন্দ্র দু’ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাউকে এক পয়সাও ঠেকায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement