আসানসোল স্টেশনে বাবুল। ছবি: পাপন চৌধুরী
সাত মাস পরে নিজের সংসদ এলাকা আসানসোলে এলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ আসানসোল স্টেশনে পৌঁছন সাংসদ। তাঁকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছিলেন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক। দূরত্ব-বিধি কার্যত উপেক্ষা করেই তাঁরা বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে ধরেন।
বাবুল এ দিন জানান, আগামী পাঁচ দিন মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের সমর্থনে আসানসোলের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার চলাবেন। তাঁর সঙ্গে দলের নানা কর্মসূচিও রয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী কার্যকলাপের পরিকল্পনা করবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ। তবে এ দিন তিনি মহীশিলায় নিজের বাড়িতে ওঠেননি। বাবুল বলেন, ‘‘আবাসিকদের আপত্তি থাকায় আমি শহরের একটি হোটেলে উঠেছি। এখানে থেকেই আমার করোনা পরীক্ষা করাব। তার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক হবে।’’ সকালে আসানসোল স্টেশনে তাঁকে স্বাগত জানাতে স্বাস্থ্য-বিধি ভেঙে দলের লোকজনের হাজির হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘স্বাস্থ্য ও দূরত্ব-বিধি উপেক্ষিত হয়েছে ঠিকই। তবে এত ভালবাসা, সেটাও উপেক্ষা করতে পারিনি।’’
এ দিন কুলটির নিয়ামতপুরে কৃষি আইনের সমর্থনে বিজেপি একটি মিছিলের আয়োজন করে। লছিপুর থেকে শুরু হয়ে সেটি নিয়ামতপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যায়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের মিছিল প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করেছেন, তা সমর্থন করি। কিন্তু এ রাজ্যেও যে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে, তার প্রতিবাদেও তাঁর পথে নামা উচিত।’’ টিটাগড়ে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় তৃণমূল এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব হন তিনি।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কৃষি আইন নিয়ে বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাতে রাস্তায় নামছে। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে আইনের শাসন নেই। তাই এ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপি নেতাদের কথা বলা মানায় না।’’