ফাইল চিত্র।
জুলাই মাসে ফেসবুক পোস্ট করে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। তিন মাসের ব্যবধানে তিনি বিজেপি ছেড়ে এখন তৃণমূলে। আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে বাবুল জানালেন, ঠিক কী হল, কেন হল! গায়ক-সাংসদ বললেন, ‘‘সাত বছর মন্ত্রী থাকার পরেও যে আমাকে সরিয়ে দেওয়াটা ঠিক হয়নি, সেটা দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) অনুভব করেছেন বলেই আমাকে এই সুযোগটা দিয়েছেন।’’
বাবা রামদেবের সঙ্গে বিমানযাত্রার প্রসঙ্গ টেনে বাবুল শনিবার বলেন, ‘‘বিমানযাত্রার সময় মনে হয়েছিল যে, আমি মানুষের কাছে গেলে, বিজেপি-র হয়ে মোদীজির কথা বললে মানুষ আমাকে গ্রহণ করবে। তাই আমি বলেছিলাম।’’ আসানসোলে বিপুল ভোটে জয়ও পেয়েছিলেন বাবুল। তার পর মন্ত্রী হয়েছিলেন। কেমন ছিল সেই মন্ত্রিত্বের অভিজ্ঞতা? বাবুল বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের মতো শক্ত বিষয় নিয়ে সংসদে উত্তর দিয়েছি। আমি যে মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলাম, তাঁর পূর্ণমন্ত্রীর আমি এক জন ভরসার পাত্র ছিলাম। এমনকি তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের কাজেও আমাকে যুক্ত করা হয়েছিল। সংসদে উত্তর দিতাম।’’
শেষমেশ হঠাৎই মন্ত্রীর পদ থেকে বাদ পড়লেন বাবুল। তিনি বলেন, ‘‘জীবনে সাফল্য, ব্যর্থতা সবই থাকে। কিন্তু আত্মবিশ্বাস না থাকলে, আজকের দুনিয়ার কিছু করা সম্ভব নয়।’’ বাবুল এই কথার মধ্যেই টেনে এনেছেন একাধিক প্রসঙ্গ। কত বার তাঁর গাড়িতে হামলা হয়েছে, কত বার তিনি আক্রান্ত হয়েছেন, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বাবুল জানিয়েছেন, মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার লোক তিনি নন। তাই মন্ত্রী পদ থেকে সরে আসার পরেও তিনি বাংলার হয়ে কাজ করতে চেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মন খারাপ হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রেও আমার মন যেটা বলছে, সেটা থেকে আমি পালিয়ে যাইনি। আমার মন বলছে, আমি বাংলার জন্য কাজ করতে পারি। সেই সুযোগ দিয়েছেন দিদি।’’