Babul Supriyo

Babul Supriyo: সব খুলে দেওয়া হলে ট্রেন কেন নয়, টুইটে প্রশ্ন তুললেন বাবুল

সোমবার কার্যত লকডাউনের মেয়াদ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে নবান্ন। সরকারি এবং বেসরকারি বাসগুলিকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১৫:৩৪
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সবই যদি খুলে দেওয়া হয় তা হলে লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা হচ্ছে কেন? ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েও তো ট্রেন চালানো যায়! প্রশ্ন তুললেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়

Advertisement

মঙ্গলবার দু’টি টুইট করেছেন বাবুল। তার একটিতে ট্রেন কেন চালানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যটিতে, তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, বেসরকারি বাস চালালে করোনা সংক্রমণ কমবে কি?

রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সোমবার কার্যত লকডাউনের মেয়াদ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে নবান্ন। ৩০ জুন কার্যত লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সোমবারই সেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন তিনি।

Advertisement

সরকারি এবং বেসরকারি বাসগুলোকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত, ৭ ঘণ্টা সেলুন, পার্লার খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানেও ৫০ শতাংশ গ্রাহক প্রবেশে অনুমতি গ্রাহ্য হবে। শরীরচর্চাকেন্দ্রগুলিকেও ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে অফিস চালানোর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য।

এই সব বিষয়ে ছাড় দিলেও লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো চলাচলে কোনও অনুমতি দেয়নি রাজ্য। এ প্রসঙ্গেই প্রশ্ন তুলে বাবুল টুইট করেন, ‘সবই যদি খুলে দেওয়া হয়, বাসও যদি চলতে পারে, তা হলে ট্রেন বন্ধ থাকবে কেন? ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েও তো ট্রেন চালানো যায়! মানুষ অফিসে আসবে কী করে? অনেক কম সময়ে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ যাতায়াত করলে সেটা আরও যুক্তিসম্মত হতো না কি?’

আরও একটি টুইট করেন বাবুল। সেখানে তিনি বলেন, ‘নিরুপায় গরিব মানুষ গাদাগাদি করে লম্বা পথ পাড়ি দিলে করোনা সংক্রমণের সঙ্কট আরও বাড়বে বই কমবে না। বাসে, বিশেষ করে বেসরকারি বাসগুলিতে করোনার নিয়মকানুন কি মানা হবে বলে মনে হয়?’ এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ হঠকারী বলেই মনে করেন বাবুল। এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও এগুলো যে কোনও রাজনৈতিক পোস্ট নয় সে কথাও টুইটে উল্লেখ করেছেন বাবুল।

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় মে মাসের মাঝামাঝি থেকেই লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বিপাকে পড়েন বহু অফিসযাত্রী। রুটি রুজির টানে শহরের নানা প্রান্তে ছুটে মানুষগুলো রোজগার বন্ধ হওয়ার পথে। শহরতলি থেকে শহরে আসার সবচেয়ে বড় যোগাযোগ মাধ্যম লোকাল ট্রেন। সেই ‘লাইফলাইন’ থমকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। বাস চালানোর কথা বলা হলেও কেন ট্রেন চালানো হচ্ছে না, তাই সে প্রশ্নই ছুড়ে দিয়েছেন বাবুল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement