কলকাতায় বেড়ানোর নতুন উপহার বাবুলের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে। ছবি: পিটিআই।
লাইন দিয়ে টিকিট কাটার ঝক্কি থেকে মুক্তি, শীতের কলকাতায় বেড়াতে বেরোলে এখন থেকে ইকো পার্ক, নিকো পার্ক, সায়েন্স সিটি, ভিক্টোরিয়া-সহ শহরের ২১টি দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা যাবে একটি মাত্র টিকিটেই। যা বাড়িতে বসে অনলাইনেই সংরক্ষণ করা যাবে। বুধবার বিকালে এই খবর দিলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত ওই টিকিটে ২১টি দর্শনীয় স্থান দেখার সুযোগ থাকলেও পরে তালিকা দীর্ঘ হবে। কিছু কিছু ‘এন্ট্রি ফি’তে বিশেষ ছাড়ও পাবেন ভ্রমণপিপাসুরা।
টিকিটটি আসলে একটি কিউআর কোড বেসড পাস। নাম সিটি পাস। যা অনলাইনে সংরক্ষণ করার পর মোবাইলে একটি ইউনিক কিউআর কোড হিসাবে আসবে। সেই কিউআর কোড স্ক্যান করিয়েই প্রবেশাধিকার মিলবে কলকাতার ২১টি দর্শনীয় স্থানে। বাবুল বলেন, ‘‘কলকাতার পর্যটন ব্যবসাকে আরও আকর্ষণীয় এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত করার ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ বা দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে কলকাতায় বেড়াতে আসেন যে পর্যটকেরা, তাঁদের কথা ভেবেই কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলিকে একটি টিকিটের অধীনে আনার কথা ভেবেছে পর্যটন দফতর।’’
২১ টি দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য ৭ দিনের মেয়াদের ওই টিকিটের মূল্য ৪৯৫ টাকা। তবে এই মূল্যের হেরফের হতে পারে। কেউ যদি ২১টি দর্শনীয় স্থান না দেখতে চান, তবে তাঁরা বেছে নিতে পারেন কোন কোন ঐতিহ্যবাহী বা দর্শনীয় স্থানগুলি দেখতে চান তাঁরা। তার ভিত্তিতেই ঠিক হবে টিকিটের দাম কত হবে।
আপাতত ২১টি দর্শনীয় স্থানের তালিকায় রয়েছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ইন্ডিয়ান মিউজ়িয়াম, নেতাজি ভবন, নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়াম, বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়াম, স্মরণিকা ট্রাম মিউজিয়াম, এশিয়াটিক সোসাইটি, আরকে মিশন স্বামী বিবেকানন্দ হাউস অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার, সায়েন্স সিটি, নিকোপার্ক, রবীন্দ্র তীর্থ, নজরুল তীর্থ, এয়ারক্র্যাফ্ট মিউজিয়াম, ইকোপার্ক, আলিপুর মিউজ়িয়াম, মাদার্স ওয়াক্স মিউজিয়াম, গান্ধী আশ্রম, নাট্যশোধ সংস্থা, কলকাতা পোর্ট মেরিটাইম হেরিটেজ মিউজ়িয়াম, স্টেট আর্কিওলজিকাল মিউজিয়াম এবং কলকাতা পুলিশ মিউজ়িয়াম। তবে খুব শীঘ্রই এই তালিকায় চিড়িয়াখানা এবং বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামও জুড়তে পারে বলে আশা দিয়েছেন বাবুল।
বাংলার পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে গিয়ে ইন্টিগ্রেটেড কিউআর কোড বেসড সিটি পাসের এই লিঙ্ক পাওয়া যাবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই টিকিটের পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাচক্রে ওই দিনই মন্ত্রী বাবুলের জন্মদিনও। তবে টিকিটের খবর জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘এটা কিন্তু একেবারেই কাকতালীয়। আমি বলিনি ওই দিন করতে। পর্যটন দফতরের কর্তারাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’