ফাইল ছবি
ও-পার থেকে এসে নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতার উপকণ্ঠে লুকিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হয়নি। সিআইডি তাকে ডানলপ থেকে গ্রেফতার করেছিল। নির্দিষ্ট সময়ে আদালতে চার্জশিটও পেশ করেন তদন্তকারীরা। তার কিছু দিন পরে আদালত থেকে জামিন পায় সে। আর জামিনের পরেই বেমালুম বেপাত্তা হয়ে যায় বাংলাদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী নুর-উল-লতিফ নবি ওরফে সারোয়ার ম্যাক্সন। তাকে ফের কব্জায় আনতে তার জামিন বাতিলের তোড়জোড় শুরু করেছে সিআইডি।
ইতিমধ্যে ম্যাক্সনের বিরুদ্ধে মামলার যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সিআইডি-র তদন্তকারীরা। ওই দুষ্কৃতীর জামিন বাতিলের জন্য খুব দ্রুত আবেদন করা হবে ব্যারাকপুর আদালতে। এর মধ্যে বাংলাদেশের পুলিশের একটি দলও তাকে হাতে পেতে আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে।
সিআইডি সূত্রের খবর, ২০১১ সালে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় তোলাবাজির অভিযোগে প্রথমে এক সঙ্গী-সহ গ্রেফতার হয় ম্যাক্সন। ২০১৭ সালে সেখানে জামিনে ছাড়া পেয়ে সে চলে যায় পশ্চিম এশিয়ার ওমান এবং কাতারে। অভিযোগ, সেখান থেকেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করত সে এবং পরে ভারতে ঢুকে একই কারবার চালাতে থাকে। গোয়েন্দারা জানান, ম্যাক্সনের সঙ্গীরা এখনও বাংলাদেশে সক্রিয়। অভিযোগ, এখান থেকে ফোন করে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের টাকা চেয়ে হুমকি দিত ম্যাক্সন। আর সেই টাকা সংগ্রহ করত তার শাগরেদরা।
সিআইডি-র দাবি, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের চাঁদগাঁওয়ের বাসিন্দা ম্যাক্সন ডানলপের নর্দার্ন পার্কে তমাল চৌধুরী নাম নিয়ে এক মহিলার সঙ্গে বসবাস করছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে বরাহনগর থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ম্যাক্সন বছর দুয়েক আগে বেআইনি ভাবে এ দেশে ঢুকে ভুয়ো পরিচয়পত্র, আধার কার্ড বানিয়ে মাছের ব্যবসা করছিল। সিআইডি-র এক কর্তা জানান, ম্যাক্সনের খোঁজ তো চলছেই। পাশাপাশি তার জামিন বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে এ দেশে প্রবেশ, নথি জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র-সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ রয়েছে।
তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যাক্সন যে বাংলাদেশের নাগরিক, তার প্রমাণপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে তা চাওয়া হয়েছে। মিললেই আদালতে দাখিল করা হবে। যা থেকে প্রমাণ করার চেষ্টা হবে, ম্যাক্সন আদতে বাংলাদেশি। অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকে এখানে নাম ভাঁড়িয়ে থাকছিল।