‘আক্রান্ত’ দেবাঞ্জন। নিজস্ব চিত্র
‘দেশের বাড়ি’ বর্ধমান থেকে কলকাতায় ফেরার পথে বুধবার আলিশা বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি, এবিভিপি-র কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ও তাঁর বান্ধবী, এমনই অভিযোগ করেছিলেন দেবাঞ্জন বল্লভ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সে রাতেই ন’জনকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতেরা তাদের কর্মী, সমর্থক বলে দাবি বিজেপির। বৃহস্পতিবার বিচারক ধৃতদের ১৩ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ‘নিগ্রহের’ ঘটনায় সামনে এসেছিল দেবাঞ্জনের নাম। বুধবার রাতে বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন দেবাঞ্জন। পুলিশ জানায়, প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দেবাঞ্জনের বান্ধবীর বয়ানও নেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, আলিশা বাসস্ট্যান্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই ন’জনকে ধরা হয়।
নকশালপন্থী সংগঠন ইউএসডিএফ-এর সদস্য দেবাঞ্জন বলেন, ‘‘বিজেপিই যে হামলা চালিয়েছে, এই গ্রেফতারিতে তা বোঝা গেল।’’ ইউএসডিএফ নেতা সৃজন দত্তের মন্তব্য, ‘‘দেশ জুড়ে মেরুকরণের রাজনীতি চলছে। এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন করলেই হামলা হচ্ছে।’’
পক্ষান্তরে, বিজেপির জেলা সাংগঠনিক সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীর দাবি, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তা হলে কি উগ্রবামপন্থার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে তৃণমূল?’’ যদিও তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করেছে পুলিশ।’’