(বাঁ দিকে) কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল ছবি।
তৃণমূলের টিকিট না পেলে যোগদান করতেন বিজেপিতে। কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে আক্রমণ করতে গিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে কলকাতা পুরসভার অন্দরমহলে তো বটেই, শাসকদলের অন্দরেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে শুভেন্দুর দাবি শোনামাত্র খারিজ করে দিয়েছেন অতীন স্বয়ং।
শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে ১৪ অস্ট রাতের ঘটনায় অতীনকে ফের নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘২১-এর ভোটের আগে বিজেপিতে আসতে চেয়েছিলেন অতীন ঘোষ। কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় তৃণমূল টিকিট না দিলে বিজেপির হয়ে লড়তেও চেয়েছিলেন।’’ এমন মন্তব্যের পর ফেসবুকে প্রতিবাদ করেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় লেখেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করছেন যে, আমাদের দলের নেতা, বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার উপমহানাগরিক অতীন ঘোষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ও বলেছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী পদ না পেলে তিনি নাকি বিজেপির প্রার্থী হবেন।’’ শান্তনু আরও লেখেন, ‘‘দেখা করার সুনির্দিষ্ট জায়গার কথাও উল্লেখ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, এই অভিযোগ মিথ্যা। তাই আমরা চাই, আমাদের নেতা অতীন ঘোষ এই কথার তীব্র প্রতিবাদ করুন, সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ্যে অস্বীকার করুন এবং বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। বিরোধী দলনেতার হিম্মত থাকলে অতীন ঘোষের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের প্রিয় অতীনদা অভিযোগকারীর মুখোশ খুলে দেবেন ও তাঁকে মিথ্যাবাদী প্রমাণ করবেন। তিনি মামলা করলে আমরা সবাই নিশ্চিত ভাবে তাঁর পাশে থাকব। অধীর আগ্রহে আপসহীন লড়াইয়ের অপেক্ষায় থাকলাম।’’
উল্লেখ্য, শান্তনুর স্ত্রী কাকলি সেন কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। যা অতীনের বিধানসভা কেন্দ্র কাশীপুর বেলগাছিয়ার অন্তর্গত। তাই শান্তনুর এই পোস্টটি নিয়েও জল্পনা শুরু হয় উত্তর কলকাতার তৃণমূলের অন্দরে। তবে শান্তনু ও তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব সম্প্রতি দূরত্ব রচনা করায় দলের একাংশের নেতারা তাঁর মতামতকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। আরজি কর-কাণ্ডে প্রকাশ্যে নিজের মতামত জানানোয় দলের রোষানলে পড়েছে সেন পরিবার। তবে শুভেন্দুর যাবতীয় অভিযোগ এবং দাবি খারিজ করে দিয়েছেন ডেপুটি মেয়র। অতীন বলেন, ‘‘শুভেন্দু দল ছাড়ার পর থেকে আমার সঙ্গে তাঁর আর কোনও যোগাযোগ নেই। কেন তিনি এ সব কথা বলছেন, আমার জানা নেই। এমন কথা বলে তিনি জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তাঁর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই।’’