Blood Donation

ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেই, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দিলেন হাসপাতালকর্তা

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত চণ্ডীতলার গরলগাছার বাসিন্দা রূপসা রায়। বছর সাতেকের মেয়েকে ও পজিটিভ গ্রুপের রক্ত দিতে নিয়ম করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৪৭
Share:

তখন রক্ত দিচ্ছেন চন্দননগর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার শান্তনু মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র

ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেই। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে রক্ত দিতে এগিয়ে এলেন হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলির চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল।

Advertisement

থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত চণ্ডীতলার গরলগাছার বাসিন্দা রূপসা রায়। বছর সাতেকের রূপসাকে ও পজিটিভ গ্রুপের রক্ত দিতে হয় নিয়ম করে। বরাবর চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালেই রক্ত দেওয়া হয় রূপসাকে। সে জন্য বৃহস্পতিবার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রুপসার মা রুনা। কিন্তু ব্লাড ব্যাঙ্কে ও পজিটিভ গ্রুপের রক্ত মেলেনি। ফলে দিশাহারা হয়ে পড়েন রুনা। রক্তের জন্য কান্নাকাটি করতে থাকেন তিনি। হাসপাতাল সুপার জগন্নাথ মণ্ডলের ঘরের সামনে অসহায় অবস্থায় মা এবং শিশুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন ওই হাসপাতালেরই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার শান্তনু মুখোপাধ্যায়। কার্যক্ষেত্রে তিনিই হয়ে ওঠেন পরিত্রাতা।

শান্তনুর রক্তের গ্রুপও ও পজিটিভ। তিনি রূপসাকে রক্ত দিতে রাজি হয়ে যান। উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে আসেন হাসপাতালেরই আর এক কর্মী দেবাশিস দাস। তিনিও বছর ছয়েকের আর এক শিশুকে রক্ত দেন। শান্তনু বলেন, ‘‘এখন রক্তের আকাল চলছে। আমি নিজে কয়েক জায়গায় ফোন করেও রক্ত পাইনি। তাই নিজেই রক্ত এগিয়ে এলাম।’’ বিপত্তি থেকে রেহাই মেলায় উচ্ছ্বসিত রূপসার আত্মীয় পরিজনরা। রূপসার মা রুনা বলেন, ‘‘ডাক্তারবাবু রক্ত না দিলে কী হত জানি না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধ্যায় ‘ক্লোজড’, দলের অন্দরে স্পষ্ট বার্তা দলনেত্রী মমতার

আরও পড়ুন: হলদিয়ায় একমঞ্চে কুণাল-লক্ষ্মণ, নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে জল্পনা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement