ফাইল চিত্র।
সংবিধান প্রণয়নের ৭০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসছে আজ, মঙ্গলবার থেকে। দু’দিনের ওই অধিবেশনে সংবিধানের নানা দিক নিয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রিত রাজ্যের বর্তমান ও প্রাক্তন রাজ্যপালেরা, হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং অ্যাডভোকেট জেনারেল। থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীও। সংবিধান দিবস পালনের জন্য আজই রাজভবনে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সরকারি সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার কোনও সদস্য সম্ভবত রাজভবনের অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করতে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষায় যা যা করণীয়, সব বিষয়েই যেন রাজভবনের অনুষ্ঠানে আলোচনা হয়।
দু’দিনের বিশেষ অধিবেশনের পরে এক দিন বিরতি দিয়ে আগামী ২৯ নভেম্বর, শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিধানসভার সাধারণ অধিবেশন। মাঝে বৃহস্পতিবার কার্য উপদেষ্টা (বিএ) কমিটির বৈঠকে সাধারণ অধিবেশনের কার্যসূচি ঠিক হবে। তার আগে সোমবার সর্বদল বৈঠকে বিশেষ অধিবেশনের জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ অধিবেশনে আমন্ত্রিত বক্তারা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিভিন্ন দলের বিধায়কেরা বক্তৃতা করবেন। তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস এই অবসরে মহারাষ্ট্র-সহ নানা ক্ষেত্রে কী ভাবে বিজেপির হাতে সংবিধান বিধ্বস্ত হচ্ছে, সেই বিষয়ে সরব হতে চায়।
স্পিকার এ দিন বলেন, ‘‘সংবিধান প্রণয়নের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমাদের এই বিশেষ অধিবেশন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, রাজ্যের প্রাক্তন তিন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, এম কে নারায়ণন ও শ্যামল সেন, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এই অধিবেশনে আমন্ত্রিত। থাকবেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তও। রাজ্যপাল মঙ্গলবারই আসবেন বলে জানিয়েছেন।’’ তবে রাজভবনের অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে স্পিকার জানিয়েছেন।
সর্বদল বৈঠকে বিরোধীরা দাবি করেছে, আগের অধিবেশন যে মুলতুবি ছিল, তাই সে বারের জমা দেওয়া মুলতুবি প্রস্তাব বা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এ বার আলোচনার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। পরে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘বিশেষ অধিবেশনের তাৎপর্য আলাদা। কিন্তু সরকারের তল্পিবাহক হওয়ার জন্য আমরা এখানে আসিনি! সাধারণ অধিবেশনে আমরা সাধারণ মানুষের সব দাবি-দাওয়াই তুলব।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীরও বক্তব্য, ‘‘ডেঙ্গি ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। সরকারের দেওয়া আশ্বাস পূরণের দাবিতে পার্শ্ব-শিক্ষকদের অনশন চলছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এ অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই সব বিষয়েই সরকারের জবাব চাইব।’’