ঐশীর কথা স্মরণ করালেন অশোক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র
রাস্তার নাম করণের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ঐশী ঘোষের প্রসঙ্গে টেনে আনলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। রবিবার তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, পুরসভার ক্ষমতায় ফের বামেরাই ফিরবে। তিনি বলেন, ‘‘ঐশী মতো আমরাও আবার ফিরে আসব।’’
মেয়রের এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি জানান, আশাকরি উনি দীর্ঘায়ু হবেন। বলেন, ‘‘ওনাকে নববর্ষের অনেক শুভেচ্ছা। বিজেপি কংগ্রেসকে নিয়ে উনি শিলিগুড়ি মডেল তৈরি করুণ। তৃণমূল, তৃণমূলের মতই থাকবে।’’
শিলিগুড়ি কয়েকটি রাস্তার এবং মোড়ের নামকরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী মেয়র তরজা চলছেই। রাস্তার নামকরণ নিয়ে গত শনিবার মেয়রকে বিধেছিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়ে মেয়রের নামকরণকে অনিয়ম বলে জানান। পূর্ত দফতর এবং জাতীয় সড়কের রাস্তার নাম রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়ে করা যায় না। তারপরেও মেয়র অনিয়ম ভাবে নাম পরিবর্তন করেছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন পর্যটন মন্ত্রী। কড়া ভাষায় মেয়রের সমালোচনা করে জানিয়েছিলেন, পুরসভার মেয়াদ তিন মাস রয়েছে। বিদায়ের সময় এসেছে। পাল্টা মেয়র জানিয়েছিলেন, মন্ত্রীরই মেয়াদ ফুরিয়েছে বিদায় মন্ত্রীকেই নিতে হবে। রবিবার ফের রাস্তার নামকরণকে বৈধতা দিয়ে পুর আইনের প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান, পুর এলাকায় থাকা শুধু রাস্তায় নয় কোন বেসরকারি জায়গা, বাগানের নাম করণ করতে পারে পুরসভা। নাম পরিবর্তণ করতেও পারে। অতীতেও রাস্তার নামে চক কথাটি ছিল। বর্তমানে শব্দটি বাংলায় বহুল প্রচারিত। তারা সিপিএমের কোন নেতার নামে রাস্তার নাম করেননি। গাঁধীর নামে করেছেন। তাতে অন্যায়ের কিছু নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
মেয়র বলেন, ‘‘এ বিষয়ে মন্ত্রী অযথা উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। এর সঙ্গে অবেগ না জড়ানোই কাম্য।’’ পুরভোটের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, উনি মেয়র হতে চেয়েছেন কে না করেছে। হোন না। কোনও জায়াগায় জিততে পারবেন না। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেও জিততে পারবেন না। তাহলে কার ভীমরতি হয়েছে।?’’ উল্লেখ্য, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পর্যটন মন্ত্রীর স্ত্রী শুক্লা দেব।
১০টি রাস্তার নাম পরিবর্তন, উড়ালপুর এবং সেতুর নাম পরিবর্তন করেছিল পুরসভা। রাস্তার নামে চক করার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল রাজনৈতিক শিবিরে। সিপিএমের দাবি তারা অনেক দিন আগেই সেই নামগুলি তুলেছিলেন। বিরোধীদের প্রস্তাব দিতে জানান হয়েছিল। সাংসদ রাজু বিস্তা সহ কয়েকজন প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোন নামের প্রস্তাব পাঠান হয়নি বলে তার দাবি। নামের যে প্রস্তাব এসেছে তা উপদেষ্ঠা কমিটিকে জানান হয়েছে। এদিন শিলিগুড়ির বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা এদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার নামে চক থাকার প্রতিবাদে পোস্টা সাঠিয়েছে।